ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : এন্টিভেনম বা সাপের বিষের প্রতিষেধক শূন্য হয়ে পড়েছে ঠাকুরগাঁও। দুই সপ্তাহে জেলায় সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। জেলা সদরসহ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে এন্টিভেনম এর অভাবে সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন সাপে কাটা এসব রোগী।
জানাযায়, গত দুই সপ্তাহে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের ইসরাইল উদ্দীনের ছেলে সাকিবুল ইসলাম (১০), পীরগঞ্জ উপজেলার স্কুলছাত্র তারেক (১৩), রাণীশংকৈল উপজেলায় কলেজছাত্র মোকসেদ আলী (১৯) এবং হরিপুরের গৃহবধূ সম্পা রানী (৩২) সহ পাঁচজনের।
সাপের কামড়ে নিহত সাকিবুলের বাবা ইসরাইল উদ্দীন জানান, গত শুক্রবার গভীর রাতে আমার ৫ম শ্রেণীতে পড়া ছেলেটাকে বিষধর সাপে কামড় দেয়। আমরা জানার পর তাকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী, পরে হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষ এবং পরে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেও এন্টিভেনম না পেয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে ভোরে তার মৃত্যু হয়। জলজ্যন্ত ছেলেটা আমার কোলের ওপরেই মারা যায়। আমি কিছুই করতে পারিনি। এভাবে সাপের কামড়ে বিনা চিকিৎসায় কোন বাবা মার কোল যেনো খালি না হয়ে যায়। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, "বর্ষার সময়ে সাপের কামড়ের ঘটনা বেশি হয়। প্রতি বছর জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় বর্ষা শেষের দিকে। অথচ আগে থেকেই মজুদ রাখা উচিত।"
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, "চাহিদা পাঠানোর পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এন্টিভেনম পাওয়া যায়নি। সেখানেও এর সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত কিছু এন্টিভেনম জোগার করতে।" এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের আরো বেশী সচেতন ও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন জেলার সচেতন মহল।