খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা : খাগড়াছড়িতে এনসিপির পদযাত্রা ও কৃষক দলের কর্মসূচি একই দিনে, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দ খাগড়াছড়িতে পদযাত্রা ও জনসভা করেন। এ পদযাত্রা ও সভাকে ঘিরে খাগড়াছড়ি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
জানা গেছে, এনসিপির পদযাত্রা ও জনসভা ঘিরে সেনাবাহিনী ছাড়াও মোতায়েন ছিলো পুলিশ ও এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ।
খাগড়াছড়ি শহরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পরে শহরের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় জনসভা।
অন্যদিকে খাগড়াছড়ির কলাবাগান এলাকায় একইদিন বিকেল ৫টায় বিএনপির অঙ্গসংগঠন কৃষক দলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এনসিপি নেতাদের স্বাগত জানিয়ে নানা স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঝোলানো হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন। শহরের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা যায়।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, কক্সবাজারে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পর আমরা বেশ কিছু সতর্ক পদক্ষেপ নিয়েছি। পুরো জেলায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এসআই ও এএসইয়ের নেতৃত্বে ৬২০ জন পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। ওইদিন খাগড়াছড়িতে পূর্ব নির্ধারিত কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি রয়েছে। এ কারণে জেলা বিএনপির সাথে কথা বলেছি। বিএনপি নেতারা আশ্বাস দিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে এনপিসির কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হবে না।
এদিকে, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য মনজিলা আক্তার ঝুমা বলেন, কর্মসূচিতে জেলার নয়টি উপজেলা থেকে লোকজন দলে দলে আসে। বেলা ১১টায় খাগড়াছড়ি চেঙ্গী স্কয়ার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। এরপর মহাজনপাড়া, নারকেল বাগান বাজার হয়ে আদালত সড়ক পর্যন্ত গিয়ে শাপলা চত্বরে এসে পদযাত্রা শেষে মুক্তমঞ্চে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ির কর্মসূচিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম এবং যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।