ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো প্রাণঘাতী মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতার ঘাটতির কারণে বাগেরহাট ও মোংলা অঞ্চলে এসব রোগের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার ও জনসমাগমপ্রবণ এলাকায় মানুষের ঘন ঘন চলাচলের কারণে ঝুঁকিও তুলনামূলক বেশি। তাই কেবল ব্যক্তিগত সচেতনতাই নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পৌর কর্তৃপক্ষের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি এডিস মশার বংশবিস্তারস্থল ধ্বংস করা অত্যন্ত জরুরি।

এমন প্রেক্ষাপটে, রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মোংলাপোর্ট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ মোড়ে ব্র্যাকের উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে. এম. রব্বানী। তিনি বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু সরকার বা পৌরসভার উদ্যোগ নয়, নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।”

“নিজ নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখুন, সুস্থ থাকুন” শ্লোগানকে সামনে রেখে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচির উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের নাগরিক নেতা ও সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। এ সময় বক্তৃতা করেন মোংলা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ড. অসিত বসু, প্রভাষক শ্যামা প্রসাদ সেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম নূর জনি, বিএনপি নেতা মোঃ ফারুক হোসেন, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ডলার মোল্লা, আরাফাত আমিন দূর্জয়, ইয়ুথ লিডার মেহেদী হাসান, ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের অফিসার সনৎ কুমার, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার আবু জাফর, ফিল্ড অর্গানাইজার নূর ই আলমসহ অন্যান্য ব্র্যাক প্রতিনিধি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন সড়ক ও এলাকাজুড়ে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়। বক্তারা এ সময় আরও উল্লেখ করেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হলো—নিজ নিজ বাসস্থান ও আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করা।