গড়াই নদীর কুষ্টিয়া শহর রক্ষা বাঁধে ধ্বস

কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধে কাজ শেষ না হতেই ধ্বসে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সোয়া এক কিলোমিটার বাঁধের তিনশো মিটার বাঁধ ধ্বসে গেছে। ঠিকমত কাজ না হওয়ায় বাঁধ ধ্বসের অন্যতম কারণ বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে।

জানা যায়, গড়াই নদীর ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে গড়াই নদীর ডানতীরে মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় ২.৭০০ কিলোমিটার হতে ৩.৮৪০ কিলোমিটার অর্থাৎ ১.১৪০ কিলোমিটার প্রতিরক্ষামূলক কাজের টেন্ডার পান ন্যাচারাল কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজটির চুক্তিমূল্য ছিলো চব্বিশ কোটি বিশ লক্ষ ছাপ্পান্ন হাজার ছয়শত টাকা। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলো কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০২১-২০২৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিলো। যথাসময়ে কাজটি শেষ হলেও প্রশ্ন উঠেছে কাজের মান নিয়ে। কাজটি শেষ করে বুঝিয়ে দেওয়ার আগেই বাঁধের কয়েকটি স্থানে তিনশো মিটার দৈর্ঘ্য বরাবর বাঁধ ধ্বসে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবাড়িয়া বাঁধের বিভিন্ন স্থানে দৈর্ঘ্য বরাবর তিনশো মিটার পর্যন্ত বাঁধ ধ্বসে পড়েছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ধ্বসে পড়ার এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ওই এলাকাবাসী। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ন্যাচারাল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী লাল বাবু মুঠোফোনে বলেন, “ধ্বস রোধে বস্তা প্রস্তুত করা হচ্ছে। ওই জায়গায় সার্ভে করছে অফিস। সার্ভে শেষ হলে বস্তা ফেলবে। ওই কাজের বিল ফাইনাল হইনি, কাজই এখনও ফাইনাল হইনি।”

কাজের মান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। কাজের ডিজাইন বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারাই ভালো বলতে পারবেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে বাঁধ ধ্বসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পুর)/শাখা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, ”কাজ এখনো শেষ হয়নি, বিলও পরিশোধ হয়নি।”

নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর বলেন, এখনো কাজের বিল দেওয়া হয়নি। কাজ শেষের এক বছরের মধ্যে যদি কোন ক্ষতি হয়, তবে তা পূরণ করে দেবে ঠিকাদার। ইতিমধ্যে ঠিকাদারের সাথে কথা হয়েছে। সে ঠিক করে দেবে।