আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যশোর সদর-৩ আসনে এখন আলোচনার কেন্দুবিন্দুতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদের। যশোর শহর খোলাডাঙ্গা গ্রামের সন্তান, সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে দীর্ঘদিন যশোরের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখে আসছেন তিনি।

এলাকাবাসী জানাচ্ছেন এবার তারা পরিবর্তনের রাজনীতি চায়, তাই দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন একে অপরকে। তাই যশোরে জনমতের পালাবদল এবার দাঁড়িপাল্লার পক্ষে সাড়া, ভিপি আব্দুল কাদেরের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছেন আনেকের ভিতরে।

ফতেপুর ইউনিয়নের আব্দুর ওমর আলী বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টি সবই দেখেছি। এখন দেখতে চাই জামায়াতে ইসলামীকে সংসদে পাঠিয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন কতটা হয়। দাঁড়িপাল্লা আমাদের আশা ও ইনসাফের প্রতীক।

যশেরের পৌরসভার বারান্দীপাড়া, বেজপাড়া,শংকরপুর,নীলগজ্ঞ,খোড়কী,পুরাতন কসবা বিভিন্ন এলাকাসহ বাউলিয়া,চানপাড়া,ঝুমঝুমপুর,সুজলপুর,ভেকুটিয়া,পতেঙ্গালী,পোলেরহাট,মাহিদিয়া,চুড়ামনকাটি,বিজয়নগর, সুলতানপুর, তালবাড়িয়া এই সব গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের নতুন উচ্ছ্বাস। চায়ের দোকান, ক্লাব, বাজার কিংবা মোড়ে মোড়ে এখন আলোচনার বিষয় একটাই এইবার দাঁড়িপাল্লা।

সাধারণ মানুষ বলছেন, ভিপি আব্দুল কাদের একজন সৎ, শিক্ষিত ও নিষ্ঠাবান প্রার্থী। যশোর জেলা স্কুল ও এমএম কলেজের সেরা ছাত্র ছিলেন তিনি। অর্থনীতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স এবং এলএলবি সম্পন্ন করে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন নিজের প্রতিষ্ঠান। কলেজ জীবনে এমএম কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে তার নেতৃত্ব গুণের পরিচয় সবার কাছে সুপরিচিত।

তার নির্বাচনী অঙ্গীকারেও প্রতিফলিত হচ্ছে বাস্তবমুখী উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও সরকারি সুযোগ-সুবিধা সকলের জন্য উন্মুক্ত করবেন, সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি ও দখলবাজমুক্ত নিরাপদ যশোর গড়বেন,। সরকারি প্রকল্পের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করবেন, যশোর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করবেন, সদর হাসপাতালকে আধুনিক ৫০০ বেডে রূপান্তর করবেন, কৃষি, শিল্প ও কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন, ভৈরব নদ খনন ও রাজারহাটে নৌবন্দর স্থাপন করবেন, তরুণদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ ও পুঁজির সুযোগ সৃষ্টি করবেন।

পূর্ব বারান্দিপাড়ার বেলাল হোসেন বলেন, যশোর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ভিপি আব্দুল কাদের একজন যোগ্য, সৎ ও দূরদর্শী নেতা। তিনি সবসময় সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকেন এবং এলাকার উন্নয়ন নিয়ে বাস্তবসম্মত চিন্তা করেন। তাঁর আচরণে বিনয় ও দায়িত্ববোধের পরিচয় মেলে। বেলাল হোসেন মনে করেন, আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে যশোর-৩ আসন আরও উন্নত, শিক্ষাবান্ধব ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজে পরিণত হবে। জনগণের ভালোবাসাই তাঁর মূল লক্ষ।

বালিয়াডাঙ্গ তরুণ সমাজসেবক মাহফুজ বলেন, যশোর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডিপি আব্দুল কাদের একজন সৎ, শিক্ষিত ও নীতিবান মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর ন¤্র স্বভাব, পরিষ্কার চিন্তাধারা এবং মানবসেবার মানসিকতা তাঁকে জনগণের কাছে প্রিয় করে তুলেছে। মাহফুজ আশা প্রকাশ করেন, যদি জনগণ তাঁকে ভোটের মাধ্যমে সুযোগ দেন, তবে তিনি যশোরকে একটি আধুনিক, শিক্ষাবান্ধব ও উন্নত অঞ্চলে রূপান্তরিত করবেন।

পোলেরহাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব বলেন, আমরা দেখেছি ভিপি কাদেরের সততা ও কাজের আন্তরিকতা। তিনি নির্বাচিত হলে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আরও নিরাপদ হবে।

চানপাড়ার এক কৃষক আক্ষেপ করে বলেন, আগের এমপিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বাস্তবে কিছু হয়নি। কিন্তু কাদের সাহেব এলাকায় ঘুরে ঘুরে মানুষের কথা শুনছেন, পরিকল্পনা জানাচ্ছেন। আমরা এবার তাঁকেই ভোট দেব।

যশোরের হাট-বাজার, মোড়ের চায়ের দোকান সর্বত্র এখন একটি কথাই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে এবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিন।

সাধারণ মানুষের ভাষায় এই নির্বাচন কেবল একটি ভোট নয়, এটি পরিবর্তনের ডাক। যশোরের মানুষ বিশ্বাস করে, ভিপি আব্দুল কাদের জয়ী হলে যশোর পাবে সৎ নেতৃত্ব, ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতি ও উন্নয়নের নতুন অধ্যায়।

বিএনপির অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সঙ্গে সরাসরি লড়াই হবে তাঁর। জামায়াতের স্থানীয় নেতারা বিশ্বাস করেন, কাদেরের সততা ও নেতৃত্বগুণ তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করবে।