ময়মনসিংহ সংবাদদাতা: ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আখের রস থেকে তৈরি ঐতিহ্যবাহী লাল চিনি। এ খবরে স্থানীয় আখচাষি ও উৎপাদকদের মধ্যে আনন্দের আমেজ বিরাজ করছে। গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদুল করিম স্থানীয় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইউএনও জানান, ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় উপজেলার পাশাপাশি ময়মনসিংহ জেলার সুনামও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের ১১ জুলাই ফুলবাড়িয়ার লাল চিনিকে জিআই পণ্যের জন্য আবেদন করেছিল উপজেলা প্রশাসন। যাচাই-বাছাই শেষে সেটি অনুমোদন পেয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, আখের জাত উন্নত হলে চিনির উৎপাদন আরও বাড়বে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আখের নতুন জাত সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়া হলে লাল চিনি উৎপাদনে তারা আরও উৎসাহিত হবেন। চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে বলেও জানান তিনি। জানা যায়, রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়ায় ফুলবাড়িয়ার লাল চিনির রয়েছে ভিন্ন স্বাদ ও গুণ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালাদহ, এনায়েতপুর, রাঙামাটিয়া, নাওগাঁও, বাকতা ও রাধাকানাই ইউনিয়নে বেশি আখ চাষ হয়। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত চলে আখ মাড়াই মৌসুম। এসময় এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। আখের রস জ্বাল দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি এই চিনি দেখতে ধূসর-খয়েরি হওয়ায় একে স্থানীয়ভাবে ‘লাল চিনি’ বলা হয়।