একেএম আবদুর রহীম ফেনী : আমরা ফেনীবাসী পড়ে আছি হাসপাতাল নিয়ে। হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কিন্তু যাদের জন্য হাসপাতাল প্রয়োজন সেই মানুষগুলোই যদি না থাকে হাসপাতাল দিয়ে কি হবে? আবার দেশটাই যদি না থাকে কি হবে হাসপাতাল আর বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে?
মানুষ কয়বার রাস্তায় নামবে? কয়দিন পর পর ডাক দিলেই কি মানুষ নতুন নতুন দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসবে? এভাবে কয়দিন পর পর নতুন নতুন দাবি নিয়ে নামাটাকে সরকার বা প্রশাসন কি ভালো ভাবে নিবে? তাই আসুন আমাদের প্রয়োজনের অগ্রাধিকার ঠিক করি।
এই মুহূর্তে চায়না বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল ফেনীতে করার দাবি খুবই যৌক্তিক।ঐদিকে সোনাগাজী এবং কোম্পানীগঞ্জের লাখ লাখ মানুষ আসন্ন বর্ষায় ঘরবাড়ি, জায়গা জমি, গবাদি পশু, স্কুল মাদরাসা, পোল কালভার্ট, রাস্তা ঘাট হারানোর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। নিশ্চিত ভাঙন থেকে রেহাই পেতে এখনই কেউ কেউ সরে পড়ছে।
কাজীর হাট স্লুইস অকার্যকর হয়ে নদীতে ভেসে গেলে বহু আন্দোলনের পর বিগত স্বৈরশাসকের সময় ছোটফেনী নদী ও ডাকাতিয়া নদীর সংযোগস্থল কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুরে এই স্লুইসগেট নতুন করে করা হয়। কিন্তু দুর্নীতি ও নি¤œমানের কাজের কারণে ২/৩ বছরের মধ্যে কোটি কোটি টাকার স্লুইসগেট নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এখন শুকনো মওসুমেই নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। আসন্ন বর্ষায় এই দুটি উপজেলার হাজার হাজার একর জমি নদী গ্রাস করবে। হাসপাতাল হয়তো হবে, নদী ভাঙনও হয়তো বন্ধ হবে। কিন্তু দেশটাই যদি না থাকে কিহবে হাসপাতাল আর ভাঙন রোধ করে।
ভারতের আগ্রাসী শক্তি বাংলাদেশের চিকেন নেক খ্যাত ফেনী করিডোর দখল করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ভারতের চরম মুসলিম বিদ্বেষী মোদি সরকারের বড়বড় মন্ত্রী নেতারা প্রকাশ্যে এসব হুমকি দিচ্ছেন। সেই সাথে ভারতের মিডিয়াগুলো একই কোরাশ গেয়ে যাচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে ফেনীতে সেনানিবাস বা স্থায়ী সেনাঘাঁটি করা আবশ্যক। কুমিল্লা সেনানিবাসের ভরসায় বসে থাকা মোটেই ঠিক হবেনা।
উপরের তিনটি জনগুরুত্বপূর্ণ দাবির সাথে ফেনীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং লালপোলে ওভারপাস বা আন্ডারপাস নির্মাণের জোরালো দাবি উঠানো দরকার। এর কোনটা থেকে কোনটার গুরুত্ব কম নয়।