বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরীর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, শ্রমিক ময়দানে হাজারো সমস্যা রয়েছে। যুগ যুগ ধরে এখানে শোষণ-বঞ্চনা ও ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। ফলে শ্রমিকরা যেমন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনিভাবে দেশ কাক্সিক্ষ ত উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। কিছু সংখ্যক মানুষ দুনিয়াবী স্বার্থের জন্য শ্রমিকদের ও দেশকে বঞ্চিত করছে। আমরা এই সকল মানুষদের রোষাণল থেকে শ্রমিকদের রক্ষা করতে চাই। তিনি বলেন, দেশ ও সমাজ যেভাবে চলছে এভাবে চলতে পারে না। এই সমাজ পরিবর্তন করতেই হবে। এই সমাজকে সত্যিকার অর্থে ঘুণে পোকা খেয়ে শেষ করে দিয়েছে। এই সমাজ বাহ্যিক মোড়কের ওপর টিকে আছে। যা যেকোনো মুহূর্তে ধসে যাবে। সমাজের কোনো একটা দিক সুস্থ আছে তা বলা যাবে না। গোটা সমাজ দেহকে অসুস্থ করে দিয়েছে বর্তমান পরিবেশ। এটি জনগণ ও সরকার কারো জন্য কল্যাণকর নয়। তাই তিনি ঘুণে ধরা এ সমাজ পরিবর্তনে সকল শ্রমজীবী মানুষের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্বীন কায়েমে কাজ করতে আহবান জানান। খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানা রিকশা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. নং ২৫০৪) ও ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি. ইং- ২৪৭৯) এর উদ্যোগে রিক্সা, ভ্যান ও ইমারত নির্মাণ শ্রমিকদের সম্মানে আড়ংঘাটা হাই স্কুল অডিটোরিয়ামে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে ও শাহিনুল ইসলামের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, খুলনা মহানগরী জামায়াত ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, আড়ংঘাটা থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মনোয়ার হোসেন আনসারি, সেক্রেটারি ফিরোজ আহমেদ তুহিন। ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জুট প্রেস এন্ড বেলিং এর সভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার, বিশিষ্ট ব্যাংকার নাজমুল হাসান, অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম, ছাত্রশিবির নেতা মু. রায়হান হোসেন, শ্রমিক নেতা মো. কামাল হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল খালেক, মিস্ত্রি মোহাম্মদ ইউনুস শেখ, মো. মনতাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, মো. শামীম সেখ, মোহাম্মদ মো. এরশাদ আলম, আব্দুল হাকিম, আলামিন, তাজমুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইউসুফ আলী ফারাজী, শাহিনুর রহমান, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, দাওয়াতি কাজের ফল আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে দিবেন। বিশেষ করে মুক্তির এই পয়গাম আমরা যাদের কাছে পৌঁছাতে চাই তাদের জন্য বড়ই উপকার হবে। আমরা যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী দাওয়াত পৌঁছাতে চাই তাহলে আমাদের পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। দায়সারাভাবে কোনো কাজে বারাকা নেই এবং আল্লাহর কাছে মর্যাদা নেই। আমরা যাই করবো তা পূর্ণ এখলাস ও মনের সমস্ত আবেগের সাথে করবো। আমরা এই প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করবো যে আল্লাহ আমাদের সহযোগী হবেন এবং আমাদের সফলতা দিবেন।