মরহুম মাস্টার আব্দুর রহীম ছিলেন জাতির জাগ্রত বিবেক, প্রথিতযথা কলমযোদ্ধা এবং খ্যাতিমান সাংবাদিক; তাই তিনি গণমাধ্যম জগতের উন্নতম পথিকৃত হিসাবে সকল মহলে স্বরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সিলেটের বিয়ানিবাজার প্রেসক্লাবে বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং সাপ্তাহিক সপ্তাহ জুড়ে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক মরহুম মাস্টার আব্দুর রহীমের স্মরণে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাপ্তাহিক সপ্তাহ জুড়ে পত্রিকার সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী সম্পাদক তানভীর এলাহী মজুমদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সপ্তাহ জুড়ে পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা ফয়জুল ইসলাম, উপদেষ্টা আবুল কাশেম চৌধুরী, লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদ আল মামুন, সপ্তাহ জুড়ে পত্রিকার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক ফয়সল মাহমুদ, বিয়ানীবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি আহমেদ ফয়সাল, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক এহসান করিম খোকন, কোষাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম সাজু, দপ্তর সম্পাদক আহমদ রেজা চৌধুরী, সপ্তাহ জুড়ে পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবু আজরফ মো. জাবুর, পরিচালনা পর্ষদ সদস্য আমির হোসেন আলমগীর ও ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবকে মরণোত্তর এবং সাবেক নির্বাহী সম্পাদক ফয়সল মাহমুদকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

সেলিম উদ্দিন বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর গণমাধ্যমকর্মীরা এ স্তম্ভের বা সৌধের রক্ষক। তাই গণমাধ্যমকর্মীদের দেশ, জাতি, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেই পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়। বস্তুত, গণমাধ্যম হচ্ছে একটি জাতির দর্পণ। এ দর্পনেই প্রতিফলন ঘটে রাষ্ট্র ও সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতার বাস্তবচিত্র। বস্তুত এ কাজকে সফল ও স্বার্থক করে তোলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। আর তেমনি একজন সফল ও স্বার্থক গণমাধ্যমসেবী ছিলেন মরহুম মাস্টার আব্দুর রহীম। তার সততা, যোগ্যতা, কর্মতৎপরা, প্রজ্ঞা, মেধা, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও দায়িত্ববোধ গণমাধ্যম জগতে তাকে বিশেষ মর্যাদা দান করেছে। তিনি শুধু গণমাধ্যমকর্মী ছিলেন না বরং সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। তাই তার শূণ্যতা সহজেই পুরণীয় নয়। তিনি মরহুমকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।

তিনি বলেন, রাজনীতিই দেশ ও জাতির আশা-আকাক্সক্ষার অন্যতম অনুসঙ্গ। মূলত, রাজনীতির গতিপথ নির্ধারিত হয় রাজনীতিকদের মাধ্যমেই। রাজনীতিকদের এমন কিছু করার উচিত না যা দেশ ও জাতির অকল্যাণ বয়ে আনে। তাই রাজনীতিকদের কথাবার্তা বলার ব্যাপারে মার্জিত ও সতর্ক হওয়া উচিত। একই সাথে পরিমিতবোধও থাকা দরকার। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি যে, এক শ্রেণির রাজনীতিক বিচার-বুদ্ধিহীন কথাবার্তা বলে রাজনীতিক অঙ্গনকে কলুষিত করছেন। আবার পরবর্তীতে ভুল বুঝতে পেরে তা অস্বীকার করতেও কসুর করছেন। যা দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি আগামী নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর সংস্কার ও বিচারের পর নির্বাচনের কথা বলা হলেও এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায় অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের কাছে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পরছে না। তারা জুলাই সনদকে সাংবিধানিক ভিত্তি দিতেও নানাবিধ টালবাহানা করছে। নির্বাচনে কারচুপী করার হীন মানসিকতা নিয়ে তারা পিআর পদ্ধতির বিরোধী করছে। অথচ সংস্কার, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। জনগণ এসব দাবি পুরুণ নাহলে কোন তামাশার নির্বাচন মেনে নেবে না বরং দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী যেকোন ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেবে। তিনি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকলকে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।