জয়পুরহাট সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের অবৈধ বিচারক, প্রসিকিউটর, স্বাক্ষী সহ জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

কেয়ারটেকার সরকার বাতিলের বিচারক খায়রুল হক এবং ফ্যাসিবাদ সরকারের মেয়াদ দীর্ঘ করার রূপকার তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাকিব, হুদা ও আউয়াল কেও গ্রেফতার করে বিচারের দাবী জানান তিনি।

জয়পুরহাট জেলার ৩২ টি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর, সেক্রেটারি ও উপজেলা পর্যায়ের সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের আরামনগর স্থানীয় আব্বাস আলী খাঁন মিলনায়তনে সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জয়পুরহাট জেলা আমীর ফজলুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। জেলা সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া মন্ডল এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হাসিবুল আলম লিটন, এ্যাড. মামুনুর রশীদ ও রাশেদুল আলম সবুজ, জেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল খালেক প্রমুখ।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও দূর্ণীতিমুক্ত একটি দেশ গড়তে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে আগামী দিনের বাংলাদেশকে ঢেলে সাজিয়ে আধুনিক, মানবিক, বৈষম্যহীন সাম্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।

নির্বচান প্রসঙ্গে বলেন, জামায়াত শুরু থেকে বলে আসছে একটি ফ্রি ফ্রেয়ার নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায়। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচনের রোড ম্যাপ এবং টাইম লাইনের দাবী জানান।

তিনি আরও বলেন, যেন তেন নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। এ জন্য যুবকরা আন্দোলন, সংগ্রাম করে জীবন দেয় নি এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ কারাবারন করেন নি। তিনি জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট এসব বৈধ উপায়েও অংশগ্রহন না করার আহবান জানান।

আমাদের নেতা এটিএম আজাহারুল মুক্তি পেলেও এখন পর্যন্ত অন্যায় ভাবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল, এই নিবন্ধন এখনো ফিরে পাইনাই। আজকের এই সমাবেশের মাধ্যমে অন্তবর্তী সরকারের কাছে আহবান জানাবো, অবিলম্বে জামায়াতের নিবন্ধন প্রতীকসহ আমাদেরকে ফিরে দিতে হবে, তার কারণ ফ্যাসিবাদী সরকারের বহুৎ কিছুই এর মধ্যে অবৈধ হয়ে গেছে, সুতরাং এই নিবন্ধন বাতিলও ছিল অবৈধ এবং অন্যায়। এরপূর্বে জেলার মহিলা দ্বায়িত্বশীলদের নিয়েও আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ।