DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

গ্রাম-গঞ্জ-শহর

শ্রীমঙ্গলে লেবু কলা শসার মূল্যে ঊর্ধ্বগতি

পবিত্র রমযান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর নানা ধরণের ছাড় দেওয়া হলেও ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। এ মাসকে ঘিরে দেশের অতি মোনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে

Printed Edition
Default Image - DS

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা : পবিত্র রমযান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয়সহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর নানা ধরণের ছাড় দেওয়া হলেও ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। এ মাসকে ঘিরে দেশের অতি মোনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এবারের রমযানেও বাজারে একই চিত্র বিরাজ করছে। রমযানের শুরুতেই চারগুণ বেড়েছে লেবুর দাম। ফলে ইফতারের সময় লেবুর শরবতে গলা ভেজাতে কষ্ট হচ্ছে নিন্ম ও মধ্যভিত্ত অনেক রোজাদারের। দুই থেকে আড়াইড়গুণ বেড়েছে কলার দামও। ফলে সাহরির সময় দুধ-ভাতের সাথে কলা রাখাটাও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে অনেকের। দিগুণ বেড়েছে শসা, বেগুন, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা ও আনারসের দামও। শ্রীমঙ্গল শহরের নতুন বাজার, পুরান বাজার, স্টেশন রোড, হবিগঞ্জ রোডসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায় হঠাৎ করেই লেবু, কলা, শসা, আনরসসহ ফলের বাজারে দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতি । কোনো কোনো পণ্য দুইগুণ থেকে দাম চারগুণ বেড়েছে। সয়াবিন তেলের এখনও তীব্র সংকট থাকায় ভোক্তারা পড়েছেন বিপাকে।

বিশেষ করে রমযানের শুরুতেই লেবুর হালিতে দাম বেড়েছে চারগুণ। খুচরা বাজারে জাত ও আকার ভেদে প্রতি হালি (৪টি) লেবু এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগেও প্রতি হালি লেবু খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। শসা ও খিরা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। যা গত এক সপ্তাহের আগের তুলনায় দিগুণেরও বেশি। আনরস হালিতে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২৫০ টাকা পর্যন্ত। যা গত এক সপ্তাহ আগেও সাইজ অনুযায়ী ৬০- ১৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। মালটা, আপেল, পেয়ারা, আঙুরের প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৩০/৬০ টাকা পর্যন্ত।