বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর দেশকে অর্থবহ স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈষম্যহীন, সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেশ গড়তে চাই। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্তাব্যক্তিরা, দলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেশে যে নৈরাজ্যকর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের প্রতিটি সেক্টরে আইনের শাসন, সব মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। ফ্যাসিবাদীদের লুটপাট করা বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরত আনার ব্যবস্থা করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারবর্গকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নভেম্বরের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদকে আইনী ভিত্তির জন্য গণভোটের ব্যবস্থা করতে। জামায়াত মনোনীত এই এমপি প্রার্থী উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৎ নেতৃত্বে ও আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন চায়। চাঁদাবাজিমুক্ত সমাজ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করতে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই। আমাদের দলীয় মন্ত্রীরা দায়িত্ব পালনকালে কোন দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না। আমারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে চাঁদাবাজিমুক্ত সমাজ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নির্বাচনে সকল সম্প্রদায়ের সমর্থন আশা করেন। এ ছাড়াও সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়ন মূলক কাজে একত্রিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সেই সাথে ন্যায় ও ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট প্রত্যাশা করেন। খুলনা সদর থানাধীন ২৮ নং ওয়ার্ডে বসবাসরত স্থানীয় কয়রা-পাইকগাছার ভোটারদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ সব কথা বলেন।
স্থানীয় শহিদুল ইসলামের রিকশা গ্যারেজে মতবিনিময় সভায় খুলনা সদর থানা জামায়াতে ইসলামীর আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, কয়রা-পাইকগাছা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি এস এ মুকুল, সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান মন্টু ও হেলাল উদ্দিন, ২৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ২৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা সিরাজী বিন ইয়াকুব, জোন পরিচালক স ম রমজান, প্রচার সেক্রেটারি মো. মুজিবুর রহমান, অফিস সেক্রেটারি ডা. বিলাল জামান, বায়তুল নাজাত ইউনিট সভাপতি মো. শামীম চৌধুরী, যুব বিভাগ সভাপতি রাশেদ রিপনসহ আরও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা-৬ আসনের এই এমপি প্রার্থী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এই বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে এজন্য দেশবাসীকে সোচ্চার থাকতে হবে এবং কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের ঐক্যকে আরো দৃঢ়তর এবং মজবুত করতে হবে। আমরা একটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে সময় অতিবাহিত করছি।