কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার প্রাচীন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোপগ্রাম এ, জেড ফাযিল মডেল মাদরাসার এক অসুস্থ্য শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে কয়েক বছর ধরে বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এইস এম সোহরাব হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য এই কাজে সহায়তা করছে বলেও জানা গেছে। তবে অধ্যক্ষ অচিরেই কমিটির মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, গোপগ্রাম এ, জেড ফাযিল মডেল মাদরাসার এবতেদায়ী শাখার শিক্ষক কা¦ারী রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক ও মাণষিকভাবে অসুস্থ্য। তিনি শ্রেণিতে পাঠদান করাতে পারেন না। হাজিরা খাতা ও বেতন বিলেও স্বাক্ষর করার সক্ষমতা তার নেই। এই অসুস্থ্য শিক্ষকের স্ত্রী বদলী শিক্ষক হিসেবে মাঝেমধ্যে পাঠদান করেন। গত ৪/৫ মাস হাজিরা খাতা ও বেতন বিলেও শিক্ষক ক্বারী রফিকুলের স্ত্রী স্বাক্ষর করেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি সবার মাঝে জানাজানি হলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কয়েকজন কমিটির সদস্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই অনিয়মে সহায়তা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অসুস্থ্য শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এইস এম সোহরাব হোসেন জানান, তিনি দীঘদিন অসুস্থ্য রয়েছেন। তার স্ত্রী মাঝে মধ্যে তাকে সাথে করে মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন। অধ্যক্ষ আরো বলেন, মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি এডিসি মহোদয়কে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। আগামীতে কমিটির মিটিং হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে মোবাইলে বার বার যোগাযোগ করা হলেও রিসিভ হয়নি।