সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার কৃষকদের কাছ থেকে বেশি মূল্য দিয়ে ধান কিনছে সরকার। অতীতে কেউ এই দামে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করতে পারে নি। কৃষকরা তাদের ধানের সঠিক মূল্য পেয়েছে। কৃষকরা কোন রকম সিন্ডিকেট ও হয়রানি ছাড়া সরকারিভাবে ধান বিক্রয় করত পারবে। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধ করতে ধান বিক্রয়ের টাকা সরাসরি কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে জমা দেওয়া হবে। খাদ্য গুদামে ধান দিতে এসে কোনো কৃষক হয়রানির শিকার হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, গেল আমন মৌসুমে ধান কেনায় কোন সি-িকেট কাজ করতে পারে নি। এবারও পারবে না। এমন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গোদামে অভ্যন্তরীণ বোর ধান সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ুন কবির, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা। চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলায় ১০ লাখ কৃষক ১৩৭ টি হাওরে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে বোর ধান চাষ করেছেন। যেখান থেকে ধান উৎপাদন হয়েছে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪১০ মে.টন। আর চাল উৎপাদন হবে নয় লাখ ২৪ হাজার ৪১৩ মে. টন, যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। সরকার এ বছর সুনামগঞ্জ জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করবে ১৪ হাজার ৬৪৫ মে.টন এবং সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করবে ১৩ হাজার ৮১৬ মে.টন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন অন্তর্বর্তী সরকার কতদিন থাকবে, সেটা প্রধান উপদেষ্টা জানেন। এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। আমাকে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।