তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারত থেকে চোরাই কয়লা আনতে গিয়ে পাথরের গর্তে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে বাংলাদেশী এক কয়লা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম মো. রজব আলী (৫৬)। তিনি উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাকমা পশ্চিমপাড়ার শমশের আলীর ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের মেয়ের জামাই ফারুক মিয়া বললেন, তিনি অনেক দিন ধরেই লাকমা সীমান্তের ওপারের খাসিয়া বস্তিতে থেকে হাজিরার কাজ করতেন। প্রতি শনিবার কাজে যেতেন এবং বৃহস্পতিবারে কাজ শেষে ওপার থেকে এপারে চলে আসতেন। এভাবে গেল শনিবার সকালে বাড়ি থেকে লাকমা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওপারে কাজ করতে যান তিনি। বুধবার কাজ করার একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। এসময় পাথরের আঘাত পেয়ে মারা যান তিনি। সঙ্গে থাকা অন্যান্য লোকজন বাড়িতে তার স্বজনদের খবর জানালে বিকাল তিনটার দিকে স্বজনরা নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই কার্তিক দাস বলেন, অবৈধপথে ভারত থেকে কয়লা আনতে গিয়ে পাথরের আঘাত পেয়ে একজন মারা গেছে শুনেছি। সন্ধ্যায় নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ— ২৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল জাকারিয়া কাদির বলেন, শুনেছি লোকটি অবৈধভাবে ভারতের ভিতরে গিয়ে কাজ করতো। সেখানেই সে মারা গেছে। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কঠোর নজরদারি রয়েছে। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্তের ওপারে চলে যাচ্ছে। এ ধরনের কাজ যারা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বিজিবি।