সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা কর্মবিরতির কর্মসূচি, গণ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। চলমান এই কর্মসূচির মধ্যে সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গতকালও বিভিন্ন ধরনের গাড়ি থামিয়ে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার খেটে খাওয়া পাথর শ্রমিক। সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী খুলে দেয়ার দাবিতে গত শনিবার থেকে এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে সিলেটের সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কের টুকেরবাজারে বিশাল সমাবেশ করে পাথর সংশ্লিষ্ট মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

জানা যায়, সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা কর্মবিরতির কর্মসূচি, গণ অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি গতকাল ৪র্থ দিনেও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সকল বালু-পাথর শ্রমিকদের নিয়ে সকাল ১০টা থেকে উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্টিত হয়। এখানে দীর্ঘ ৫ ঘন্টার কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-টুকেরবাজার সড়কে এসে লাঠি-শোটা, বাশ, নিয়ে অবস্থান নেন এবং নানা স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী একটি বাস, ২টি প্রাইভেট কার, ২টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন। এসময় আন্দোলনকারীরা সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-টুকেরবাজার সড়কে দীর্ঘ দেড় ঘন্টা অবস্থান নেন।

পরবর্তীতে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলাকারী ২ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর ২টি প্লাটুন ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

সিলেটের সকল পাথর কোয়ারীর ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও ট্রাক শ্রমিকদের হয়রানি ও সকল ক্রাশার মালিকদেরকে ব্যবসার সুযোগ এবং বিদ্যুৎ মিটার পুনরায় ফেরত দেয়ার দাবিতে গণঅনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শ্রমিকরা। সমাবেশে সাবেক জনপ্রতিনিধি, বাস মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য রাখেন।