১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা মোড় বাজার ও মোড় মসজিদ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব মাহফিল শুরু হলে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের একটি গ্রুপ সেখানে উপস্থিত হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে বলে অভিযোগ ওঠে। মাহফিলে আলোচনার জন্য বক্তা হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা মিজানুর রহমান নাটোরী, বাগাতিপাড়া উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি ও জামায়াতের উপজেলা আমীর একেএম মাওলানা আফজাল হোসেন এবং স্থানীয় ইক্বরা ইসলামি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের।
এ সময় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তাইফুল ইসলাম টিপু গ্রুপের নেতা হানিফুর রহমান গেন্দা, গোলাম রব্বানী, গোলজার, মাজেদুর রহমান দুখু ও তার ছেলে ইমরুল কায়েস ইমনসহ কয়েকজন তাদের কর্মীদের নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হন।
জামায়াতে ইসলামী বাগাতিপাড়া উপজেলা আমীর একেএম মাওলানা আফজাল হোসেন বলেন, বিএনপির উক্ত নেতারা পরিকল্পিতভাবে মাহফিলের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চালায়। তারা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা আশরাফুজ্জামান ও সাবেক ছাত্রশিবির নেতা মিঠনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এছাড়া তারা মসজিদে উপস্থিত বক্তা ও মুসল্লিদের উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হামলারও চেষ্টা চালায়। তিনি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও নাটোর-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, “যারা মসজিদে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। দলের বা আমার এর সাথে কোন সম্পৃক্ততা নাই।”
অভিযুক্ত স্থানীয় বিএনপি নেতা হানিফুর রহমান গেন্দা সংগ্রামকে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। আমি নিজেই মাহফিল বাস্তবায়ন করেছি।
”বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক পরামর্শক কমিটির বিশেষ সহকারি, বিএনপি মিডিয়া সেল সদস্য ও নাটোর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার ফারজানা পুতুল সংগ্রামকে বলেন, যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে তাতে আমরা সহযোগিতা করব। আর মিলাদুন্নবী আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান । মসজিদে এমন হামলা চেষ্টার ঘটনা নিন্দনীয় এবং নেক্কার জনক। যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রশাসনিকভাবে দেখার অনুরোধ করছি । আর সত্যতা পেলে অবশ্যই দলের কাছে আহবান জানাব সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ।
এদিকে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের মতো ধর্মীয় আয়োজন রাজনৈতিক বিভাজন ও বিরোধিতার কারণে বাধাগ্রস্ত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা আর না ঘটে।