সম্প্রতি হাইমচর উপজেলার ২ নং উত্তর আলগী ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে কে ভি এন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মার্কেটে আগুন লেগে ২৬ টি দোকান পুড়ে বসিভূত হয়েছে।
খবর শুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি এডভোকেট শাহজাহান মিয়া।
অগ্নিকাণ্ডে দোকান ও মালামালসহ প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
গত মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৩ মার্চ রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আগুনের লেলিহান শেখা ছড়িয়ে পড়ে পুরো মার্কেটে।
মার্কেটে থাকা মুদি দোকান, ফার্মেসি, হোটেল, সেলুন, চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২৬ টি দোকান পুড়ে প্রায় কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ইব্রাহিম চৌকিদার জানান, মানুষের ডাক চিৎকার শুনে দ্রুত দোকানের কাছে ছুটে আসি। এরপর আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পাই। আগুনে আমার মুদি দোকানের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েগেছে।
আরেক ফার্মেসী ব্যবসায়ী ডাক্তার রুবেল হোসেন জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দোকানে আগুন লাগার খবর শুনে দ্রুত ছুটে আসি। এরপর আগুন দেখে আমি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। দোকানের ভিতরে নগদ তিন লক্ষ টাকা ও মালামাল সহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরেক ব্যবসায়ী জানান, আগুন লাগার বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে তারা এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করলে তাদের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়, ফলে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়নি।
এবং বিদ্যুৎ অফিসে কল করেও তাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করা যায়নি। এতে করে আগুন থেকে কোন কিছুই রক্ষা করা যায়নি। আগুনের তাপ তীব্র হওয়ায় পার্শ্ববর্তী কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয় সেনেটারী পাইপের ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দুর্ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা জানান, আগুনে পুড়ে দোকান ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে এসে দেখেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। কিভাবে আগুন লেগেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।