কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা : বিএনপির নবগঠিত ইউনিয়ন কমিটিতে ত্যাগী, নির্যাতিতদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও হাইব্রিডদের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সম্প্রতি সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপি অফিস সংলগ্ন স্থানে ইউনিয়ন বিএনপির ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির দোষররা অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আল মাহমুদ ছোট ও সাধারণ সম্পাদক জি এম আফজাল হোসেন। তারা বলেন বিএনপি থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অব্যহতি নিয়ে যুবলীগ, আওয়ামীলীগে সক্রিয় ও কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবলীগের কোষাধক্ষ সাইফুর রহমান ঢালী, আওয়ামী দু:শাসনের প্রধান হাতিয়ার একাধিক নাষকতা মামলার স্বাক্ষী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল আজিজ গাইন, জাতীয় পার্টির কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের একান্ত সহচর আজিবার রহমান কাগুচি, সিরাজুল ইসলাম, আমিনুর রহমান, মিয়ারাজ হোসেন, খোকন ঢালী, নূর হক সরদার, ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য আবুল বাশার ঘটক সহ বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সুবিধাভোগীরা এ মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে। এখানে প্রকৃত বিএনপির কেউ অংশ নেয়নি।

তারা আরও বলেন ইউনিয়ন বিএনপির উৎসবমূখর ও সবার গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা বিজয়ী হয়ে দলীয় প্রধান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যখন আমরা ত্যাগী, পরিশ্রমী ও পরিক্ষিতদের অন্তভূক্ত করে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিকে শক্তিশালী ও বিএনপির অদম্য ঘাটি হিসেবে প্রস্তুত করতে রাত-দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি, ঠিক তখন দল ও নেতৃবৃন্দকে বিভ্রান্ত করতে কতিপয় বিএনপি নামধারী আওয়ামী সুবিধাভোগী স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনকে নিরাপদে রাখতে তার অনুশারীদের নিয়ে সাফিয়ার আপন ফুফাতো ভাই আব্দুল আজিজ গাইন এ সমস্ত বিভ্রান্তিকর কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে। জেলা উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে একাধিক বার বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান জেলা বিএনপির সদস্য শেখ এবাদুল ইসলাম বলেন, “আব্দুল আজিজ গাইন ইউনিয়ন কমিটির নির্বাচনে হেরে গিয়ে এখন আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির লোকজন নিয়ে মানববন্ধন করছে। এতে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।