আধিপত্য বিস্তার, পারিবারিক কলহের জেরে নরসিংদীতে অস্থিরতা দিন দিন বেড়েই চলছে। ঘটছে একের পর এক খুনের ঘটনা। তিন দিনের ব্যবধানে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া হত্যার উদ্দেশ্যে আরো ২ জনের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের মনে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। যেভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে তাতে সামনের দিনে পরিস্থিতি সামলানো নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা যায়, ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে শিবপুরে আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা। এর একদিন আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে রায়পুরায় গুলী করে হত্যা করা হয়েছে এক কৃষককে।

রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চরমধুয়া ইউনিয়নের সমীবাদ গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি মেম্বার খোকা আলম ও জাকির মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জাকির মিয়া ও তার অনুসারীরা খোকা আলমের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় জাকিরের পক্ষ নিয়ে হামলায় যোগ দেন আবির মেম্বার। তাদের ছোড়া গুলীতে গুরুতর আহত হন খোকা আলমের প্রতিবেশী দুলাল মিয়া (৪৫) ও শিক্ষার্থী নাহিম মিয়া (১৪)। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার দুলালকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে নাহিম।

হামলার সময় জাকির মিয়ার লোকজন খোকা আলমের পক্ষের অন্তত ৮ থেকে ১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। প্রাণ বাঁচাতে খোকা আলমের অনুসারীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে সমিবাদ এলাকা এখন পুরুষ শূন্য। এলাকায় বর্তমানে থমথমে ভাব বিরাজ করছে।