ব্যবসায়ীদের প্রবল আপত্তির মুখে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবা খাতে বর্ধিত মাশুল (ট্যারিফ) আদায় এক মাসের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৌপরিবহন উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন গতকাল শনিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট : প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক একটি কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২৩টি খাতে নতুন ট্যারিফ কার্যকর করেছিল, যেখানে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বেড়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর পর মাশুল বাড়ানো হলেও ব্যবসায়ীরা এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছিলেন। তাদের মতে, এর ফলে রপ্তানিমুখী শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর এর চাপ পড়বে। ব্যবসায়ীরা মাশুল আদায় অন্তত ছয় মাস স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছিলেন।
আধুনিকায়ন এবং বে-টার্মিনাল
কর্মশালায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নের জন্য বিদেশি অপারেটর নিয়োগ করা জরুরি। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ মানে বন্দর বিক্রি নয়, বরং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা। এতে কারও চাকরি হারানোর ভয় নেই।
বে-টার্মিনাল প্রসঙ্গে তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আশা রয়েছে। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে অর্থায়ন করেছে এবং বর্তমান সরকারের মেয়াদেই এর কাগজপত্র সংক্রান্ত কাজ শেষ হবে। পরবর্তী সরকার এর নির্মাণ কাজ শুরু করবে। কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানসহ নৌপরিবহন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।