নরসিংদী সংবাদদাতা : নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নে শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা পালনের অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

সম্প্রতি দুপুরে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি হলেন জয়নাল আবেদীন। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আসাদুল্লাহর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী জড়ো হন। সেখানে শোকসভা আয়োজন ও খিচুড়ি রান্নার প্র¯‘তি চলছিল। এখবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জয়নাল আবেদীনকে আটক করে। এ সময় অন্যান্য নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।

রায়পুরা থানার এসআই মোজাম্মেল হক জানান, ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানের প্র¯‘তির সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে জয়নাল আবেদীনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং তিনি দলের কোন পদে আছেন কিনা তা পরে জানা যাবে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ ) সুজন চন্দ্র সরকার জানান, পুলিশের নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী নরসিংদী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তবে তাদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ): বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সিতাইকৃন্ড গ্রামের আজিজ হাওলাদারের ছেলে কামাল হাওলাদার (৪৫), বর্ষাপাড়া গ্রামের আলিল বিশ্বাসের ছেলে মোরসালিন বিশ্বাস (৩৫), চিতশী গ্রামের মকবুল মুন্সীর ছেলে হাফিজুর রহমান মুন্সী ও পিঞ্জুরী গ্রামের রফিক তালুকদারের ছেলে আকাশ তালুকদার (২৫), তারাকান্দ গ্রামের রবিউল শেখের ছেলে বেল্লাল শেখ (২১)।

জানাগেছে, বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কোটালীপাড়া থানাপুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত কামাল হাওলাদার কোটালীপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত মামলার এজাহার ভূক্ত নামীয় আসামী এবং অন্যরা মামলাটির অজ্ঞাত আসামী।

কোটালীপাড়া উপপরিদর্শক আল-আমিন বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদার হাট নামক স্থানে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জড়ো হয়ে মহাসড়কে গাছ ফেলে বিক্ষোভ মিছিল করে। এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও জনসাধারণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ ১৫৫ জনকে জ্ঞাত ও এক হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে কোটালীপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী কামাল হাওলাদার, মোরসালিন বিশ্বাস, হাফিজুর রহমান মুন্সী, আকাশ তালুকদার ও বেল্লাল শেখ কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ওইদিন গ্রেপ্তারকৃতরা মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি। এ পর্যন্ত এই মামলায় ৫০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আদমদীঘি (বগুড়া) : আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের অফিসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত নাশকতা মামলায় সান্তাহার পৌর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা বুলবুল আহমেদ (২৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি তার নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত বুলবুল আহমেদ সান্তাহার হাউজিং কলোনী (নতুন বাজার) এলাকার শাহ কামাল হোসেনের ছেলে। সে সান্তাহার পৌর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বলে জানাগেছে।

রংপুর অফিস : রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেলা মেজিষ্ট্রেট কর্তৃক এ্যডভান্স ডিটিনশন সংক্রান্ত আটকাদেশের প্রেক্ষিতে কাউনিয়া থানা পুলিশ সম্প্রতি কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের ভায়ারহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে।

কাউনিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ্ আব্দুল লতিফ টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্র-জনতা প্রতিকৃতিটি ভেঙে দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুষ্পমাল্যটি উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে অর্পণ করা হয়। তবে দুপুরের দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা প্রতিকৃতিটি ভেঙে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায়, মো. রাসেল হোসেন প্রতিকৃতির সামনে পুষ্পমাল্য রেখে যান। এসময় রাসেলের পরিচয় শনাক্ত হলেও বাকিদের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত রয়েছে।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে দু’জন ব্যক্তি এসেছিল। একজন ফুল দিয়েছে, আরেকজন মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিল। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা শাখার সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন, কলারোয়ায় মুজিব প্রতিকৃতি ভাঙতে ইউএনওর বাধা। বাহ, বাহ, ইউএনও বাহ! ডিসি মোস্তাক আহমেদ কি আওয়ামী পুষছে?