গাজীপুর মহানগরের গাছা থানায় সংঘটিত একটি পরিকল্পিত ডাকাতির ঘটনায় তিনজন দুর্ধর্ষ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপজ্জনক অস্ত্র ও লুট হওয়া মালামালের একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গাছা থানার ওসি মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, গত ২৩ জুন রাত্র ২টা ৩০ মিনিট হতে ৩টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে গাছা থানাধীন ঈশ্বড্ডা এলাকার 'আপন প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ'-এ একদল ডাকাত প্রবেশ করে। সংঘবদ্ধ এই দলের সদস্যরা কারখানা থেকে প্রায় ১০ লাখ ৩ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে ছিল প্লাস্টিক কাঁচামাল (১১৩ ব্যাগ), ৪০টি ডাইস, আইপিএস, ব্যাটারি, স্ট্যান্ড ফ্যান, গ্রাইন্ডিং মেশিন, নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ৫ ঘোড়ার মোটর, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক, ডিভাইস ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি।
পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গাছা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (গাছা জোন)-এর নির্দেশনায়, অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) সুকান্ত কুমার পল-এর নেতৃত্বে পুলিশ দল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে গাছা থানাধীন জাঝর এলাকা থেকে ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো— হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার মাজিশাইল গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে মোঃ কাউছার মিয়া(৩৫), বর্তমানে সে গাজীপুরের গাছা থানার নতুন বাজার এলাকায় থাকে।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার চমদাখালি গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিনের ছেলে সাব্বির হোসেন রাজিব(২৫), বর্তমানে সে গাছা থানার মুন্সি মার্কেট এলাকায় থাকতো এবং গাজীপুর সদর থানার কুমুন এলাকার নাসিরের ছেলে মোঃ শাখাওয়াত হোসেন ওরফে সৈকত (২৬)।
এ সময় তাদের দখল হতে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত চাইনিজ কুড়াল, সুইচ গিয়ার, হেসকো ব্লেডসহ হাতল, সিজার, টেস্টার, সেলাই রেঞ্চ ও ৬টি ঢালি।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে গাজীপুর ও আশপাশের থানায় একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক আইনে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরা তিনজনই পেশাদার অপরাধী এবং একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
গাছা থানা পুলিশ জানায়, পলাতক অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।