জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা হলো একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা—যেখানে থাকবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পূর্ণ নিশ্চয়তা। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় বাংলাদেশের মানুষ নিজেরাই নিজেদের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষমতা অর্জন করছে—এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন বক্তারা।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে মোংলার মিঠাখালী ফুটবল মাঠে ‘জুলাই স্মৃতি সংসদ’-এর আয়োজনে গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক নেতা ও পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ কোহিনুর সরদার, বিএনপি নেতা ও সাবেক কৃতি ফুটবলার শেখ রুস্তম আলী, ক্রীড়া সংগঠক মোঃ হান্নান সরদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোঃ সাব্বির হোসেন, নারী জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার আকলিমা খাতুন, সাবেক কাউন্সিলর আঃ কাদের, চাঁদপাই মেছেরশাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক অসিত গুপ্ত, ক্রীড়া সংগঠক জুস্ট সরদার, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদের উপজেলা সভাপতি মোঃ শাহ্ আলম শেখ, নাজমুল হক, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের খানজাহান আলী ও সোহাগ মিলন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, “দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে সকল ধর্ম, বর্ণ ও বিশ্বাসের মানুষ বাংলাদেশকে নিরাপদ মনে করে। ফ্যাসিবাদী মতাদর্শ যেন কোনোভাবেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সে বিষয়ে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপি নেতা ও সাবেক কৃতি ফুটবলার শেখ রুস্তম আলী বলেন, “যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে তাদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। খেলাধুলাকে উৎসাহিত করে একটি সুস্থ, সবল জাতি গঠনই শহীদদের স্বপ্ন পূরণের পথ।”

প্রীতি ম্যাচে অংশ নেয় মোংলা উপজেলা ফুটবল একাদশ ও মোংলা পৌরসভা ফুটবল একাদশ। খেলার শুরুর আগে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ও তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নির্ধারিত সময় শেষে ম্যাচটি গোলশূন্য (০–০) ড্র হয়।