বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সব বিষয়েই ইসলামের ষ্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। ইসলামের পরিপূর্ণ সংবিধান মহান আল্লাহর ঐশী বাণী পবিত্র আল কুরআন। আমরা কুরআনের কিছু অংশ মানি আর কিছু অংশ মানি না। সেক্ষেত্রে কেউ অজ্ঞতা থেকে আর কেউ দুনিয়াবি স্বার্থে মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে কুরআনের নির্দেশনা পালন করা থেকে বিরত থাকি। এজন্যই পৃথিবীতে এতো অশান্তি আর বিশৃঙ্খলা। পদে পদে বৈষম্য। এই বৈষম্য থেকে চিরস্থায়ী মুক্তি চাইলে পবিত্র কুরআনের নির্দেশিত পথেই ফিরতে হবে মানবজাতিকে। মহেশ্বরপাশা যুব সমাজের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

দুইদিন যথাক্রমে ডা. সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া ও এস এম আজিজুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে ও মাওলানা হাবিবুর রহমানের পরিচালনায় ১ম দিন প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ বঙ্গের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল খালেক। তাফসির পেশ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন মুফতি মাওলানা আমীর হামজা, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী ও জনপ্রিয় শিল্পী কবির বিন আব্দুস সামাদ। এ ছাড়াও আলোচনা পেশ করেন মাওলানা নূর সাঈদ জালালী, মাওলানা হাসিবুল্লাহ মেসবাহ, মুফতি মাওলানা সেলিম রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মহানগরী জামায়ায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ইকবাল হোসেন, দৌলতপুর থানা আমীর মাওলানা মুশাররফ আনসারী, সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন আলমগীর, সহকারী সেক্রেটারি ইসমাইল হোসেন পারভেজ। অন্যান্যের মধ্যে রেজাউল কবির, শেখ আলাউদ্দিন, রেজাউল ইসলাম, জাকির হোসেন, আমিনুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, গোলাম মুসা তুহিন, গাজী কামরুল ইসলাম। এছাড়াও মহেশ্বরপাশা এলাকার সকল মসজিদের ইমাম ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মহানগরী আমীর বলেন, আল্লাহ্ তায়ালা খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আমরা বিভিন্ন ইবাদত করবো কিন্তু সকল ইবাদতের মধ্যে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুম প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব সর্বাধিক এটা আমাদের কাছে স্পষ্ট থাকতে হবে। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলেই আমাদের উপর এত জুলুম নির্যাতন করা হয়। এই নির্যাতনের ইতিহাস সকল যুগের ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার জন্য যারা চেষ্টা সাধনা করেছে তাদের সকলের উপরই এসেছে। কিন্তু শত জুলুম নির্যাতনের পরেও সত্যবাদীদেরকে তাদের মূল লক্ষ্য থেকে এক চুল পরিমাণেও সরানো যায়নি।