চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : কুমিল্লার চান্দিনায় ছাদ থেকে ফেলে দারোয়ানকে হত্যার ঘটনার চারদিনও মামলা নেয়নি পুলিশ। এমন ঘটনায় তথ্য নিয়ে সংবাদ কর্মীদের তৎপরায় রাতে নিহতের মাকে ডেকে এনে মামলা নেয় চান্দিনা থানা পুলিশ। ওই মামলায় প্রেমিক যুগল আহাদ ও জান্নাতুল ফেরদৌসীকে আসামী করা হয়েছে।

সম্প্রতি মামলাটি গ্রহণ করে বলে নিশ্চিত করেন চান্দিনা থানা পুলিশ।

অভিযুক্ত আসামী প্রেমিক আহাদ ওরফে রায়হান সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার পূর্ব গৌরীশঙ্কর গ্রামের মো. কাশেম মিয়ার ছেলে এবং প্রেমিকা জান্নাতুল ফেরদৌস দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের নূরমানিকচর গ্রামের মো. স্বপন মিয়ার মেয়ে। তারা উভয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চান্দিনা ও বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী কোরপাই এলাকার সাদাদ জুট মিলের শ্রমিক।

এদিকে, গত ১৬ আগস্ট রাতে চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোডের শিহাব নামের এক ব্যক্তির বাসার ছাদ থেকে ওই বাসার দারোয়ান সোহেলকে ফেলে দেয় প্রেমিক যুগল। ১৮ আগস্ট রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল এর মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর চারদিনেও কোন প্রকার মামলা না হওয়ায় ২২ আগস্ট শুক্রবার এ ঘটনার বিস্তারিত তথ্যের ভিত্তিতে বিকাল থেকে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে মামলা না হওয়া সম্পর্কে মতামত জানতে চাইলে নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। রাতেই চান্দিনা থানা পুলিশ নিহতের মা সালমা বেগমকে ডেকে এনে থানায় মামলা নেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিউজ পোর্টালে রাতেই নিউজটি প্রকাশিত হয়।

চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই আমরা নিহতের পরিবারকে মামলা দিতে বলি। কিন্তু নিহতের পরিবার মামলা না দিয়ে উপরন্তু মামলা করবে না বলে লিখিত দেন। পরবর্তীতে শুক্রবার রাতে নিহতের মাকে আমরা ডেকে এনে মামলা গ্রহণ করি।