যশোর জেলার নড়াইল রোড সংলগ্ন বাউলিয়া গ্রামে অবস্থিত ‘ক্রোপকো’ নামক একটি কীটনাশক কোম্পানিতে সম্প্রতি একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় কোম্পানির মজুদকৃত কিছু কীটনাশক ও কৃষি উপকরণ জব্দ করা হয়, কারণ কোম্পানির মালিক বাহিরে আবস্থান করায় তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে উক্ত মালামালের হালনাগাদ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিষ্ঠানটিকে সামযয়িক ভাবে সিলগালা করে দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে কোম্পানির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং মালামাল জব্দ করা হয়। তবে পরবর্তীতে কোম্পানির স্বত্বাধিকারী দিদারুল হক কর্তৃপক্ষের কাছে জব্দকৃত মালামালের হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র দাখিল করেন।
বাউলিয়া গ্রামে অবস্থিত ‘ক্রোপকো’ নামক কীটনাশক কোম্পানি বৃহস্পতিবার (১০ই এপ্রিল) দুপুর ১২টায় যাচাই-বাছাই শেষে জব্দকৃত মাল বিনষ্টকরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পুনরায় চালুর অনুমতি দেন।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হুমায়ুন কবির, উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান আলি, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার রিপন চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার প্রকাশ চন্দ্র সরকার এবং কৃষি অফিসার জাহিদুর রহমানসহ জাতিয় ও স্থানীয় প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রোনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে এই ঘটনাটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতাকে স্বাগত জানালেও, কোম্পানির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কাগজপত্র প্রদর্শনে ব্যর্থতার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে কোম্পানির মালিক জানান, কাগজপত্র ছিলো বৈধ এবং তা যথাসময় উপস্থাপন করা হয়েছে।
উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, কৃষি সংশ্লিষ্ট যে কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে বৈধতা যাচাই অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের অভিযান কৃষক ও ভোক্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।