কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগরে অবস্থিত কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা বাড়িটির নাম প্যারেন্ট লজ। গত ১ সেপ্টেম্বর এই বাড়ি থেকে বিরল প্রজাতির একটি ‘মিয়াজাকি’ আমগাছ চুরি হয়।
এ ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে গণমাধ্যম ও স্যোসাল মিডিয়ায় খবরটি ব্যাপক ভাইরাল হয়।
চুরি যাওয়া বিরল প্রজাতির গাছটিকে উদ্ধারে মাঠে নেমেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। চলছে প্যারেন্ট লজের মালি, ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ।
গতকাল শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সোহাগ শিকদার। তবে বাড়িটি মালি আব্দুল হামিদ বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁর দাবি, গাছটি চুরি বা হারায়নি। বেশ কিছুদিন আগে গাছটি হেলিপট মাঠের বাগানে রোপন করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কিছু ঘটনার জন্য চুরির অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
জানা যায়, বিলাসবহুল বাড়িটির মালিক হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দানবীর আলাউদ্দিন আহমেদ। তিনি বছরখানেক আগে গাছটি জাপান থেকে এনে তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া বিলকিসের জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলেন। বিরল প্রজাতির মিয়াজাকি এক কেজি আমের দাম আড়াই লাখ টাকারও বেশি।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে জাপান থেকে একটি আমগাছ নিয়ে এসে স্ত্রীর জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলেন আলাউদ্দিন আহমেদ। তাঁর স্ত্রী গাছটি প্লাস্টিকের ড্রামে বাড়ির দক্ষিণ পাশে রেখেছিলেন। ১ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে হঠাৎ ড্রামসহ গাছটি উধাও হয়ে যায়। সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও গাছটির সন্ধান না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন আলাউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. সাইফুর রহমান।
ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক গোলাম হাফিজ বলেন, মূল্যবান গাছটির দাম প্রায় লাখ টাকা। মালি যে গাছটির কথা বলছেন, তা মিয়াজাকি কি না? তা পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া বুঝব কি করে। তাঁর ভাষ্য, গাছটি চুরির ঘটনায় ঘটেছে।
কুমারখালী থানার ওসি খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মালির ভাষ্য অনুযায়ী গাছটি হেলিপট মাঠে আছে। তবে গাছে ফল ধরার আগ পর্যন্ত নিশ্চিত নয়। বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।