চট্টগ্রাম মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী দেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তাকওয়াবান এবং যোগ্য নেতৃত্ব কায়েম করতে চায়। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের আইনি ভিত্তি প্রদানের মাধ্যমে পিআর পদ্ধতিতে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব।
শুক্রবার জামায়াতে ইসলামী সদরঘাট থানার পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মী শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
৩০নম্বর মাদারবাড়ি ওয়ার্ড আমীর হারুব অর রশিদ দিদারের সভাপতিত্বে স্থানীয় এক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম -১১আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ শফিউল আলম, সদরঘাট থানা জামায়াতের সেক্রেটারী সরওয়ার জাহান সিরাজী, ওয়ার্ড সহকারী সেক্রটারী মুহাম্মদ আতিক উল্লাহ, এতে দারসুল কুরআন পেশ করেন অধ্যাপক মাহমুমুদুর রহমান।
শিক্ষা শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা কাউছার নেওয়াজ রাজি, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মনসুর আহমদ প্রমুখ।
আমতলীতে মাদরাসার ছাত্রী অপহরণ ও হত্যা মামলায় আসামীর মৃত্যুদ-
আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা : বরগুনার আমতলীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যার মামলায় প্রধান আসামীকে মৃত্যুদ- ও সহযোগীকে পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে প্রধান আসামী মো. হৃদয় খানকে (২০) মৃত্যুদ-ের পাশাপাশি দুই লাখ টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়েছে। সহযোগী আসামী জাহিদুল ইসলামকে (১৯) পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামীই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে আমতলীর পূঁজাখোলা ইসলামপুর গ্রামের ১২ বছরের মাদরাসাছাত্রী তানজিলা শাক তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন পরিবার সাধারণ ডায়েরি করে। ওই সময় অজ্ঞাত ব্যক্তি ভুক্তভোগীর বাবার ফোনে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মেসেজ পাঠায়।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধান আসামী হৃদয় খানকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয় স্বীকার করে যে, মুক্তিপণের উদ্দেশে শিশুটিকে অপহরণের পর আমতলীর এক বাড়ির সামনে হোগলপাতার মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ধরা পড়ার ভয় পেয়ে তার হিজাব দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেয় হৃদয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, আমার নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির পর হত্যা করা হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।
আসামীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন জানান, মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ নেই। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, ১২ বছরের শিশুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যা করা ভয়াবহ অপরাধ। এ ধরনের রায় সমাজে ইতিবাচক বার্তা দেবে।