গাজীপুর-২ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে মাঠে গতি পেয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। সেই ধারায় শনিবার (৮ নভেম্বর) দিনভর গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, র‍্যালি ও জনসভায় অংশ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. হোসেন আলী। বিকেলে মহানগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নীলেরপাড়া এলাকায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন ও জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন মাওলানা শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. হোসেন আলী বলেন, এই শহর ও মানুষের কল্যাণে আমরা রাজনীতি করি, ক্ষমতার জন্য নয়। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক হবে পরিবর্তনের প্রতীক। জনগণের ভোটে ইনশাআল্লাহ আমরা ন্যায়ের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করব।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুরকে একটি আধুনিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সেবামুখী শহরে রূপ দিতে হলে দুর্নীতি, বৈষম্য ও দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। জামায়াত সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে—যেখানে প্রতিটি মানুষ পাবে সমান অধিকার, সেবা ও নিরাপত্তা।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. আফজাল হোসেন, গাজীপুর মেট্রো থানা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রউফ গাজী, ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহিদ হোসেন, মো. মনির হোসেন, মো. সোহরাব হোসেন, আব্দুল বাতেন সরকার ও আব্দুল মান্নান প্রমুখ।

অনুষ্ঠান চলাকালে মহানগরের কৃষ্ণ ৩০ নং ওয়ার্ড বালুচাকুলি এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তি আলহাজ্ব নাজিমুদ্দিন মৃধার নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন কর্মী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন। নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে মো. হোসেন আলী বলেন, “জনগণের এই আগ্রহ ও অংশগ্রহণই প্রমাণ করে মানুষ এখন পরিবর্তন চায়—একটি সৎ, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব নেতৃত্ব চায়।”

অতিথিরা বলেন, সামাজিক মূল্যবোধ ও মানবিক চেতনা জাগ্রত করতে এমন আয়োজন তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে। এর মাধ্যমে সমাজে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা আরও জোরদার হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পরে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি জয়দেবপুর-পূবাইল সড়ক প্রদক্ষিণ করে কৃষ্ণচূড়া মার্কেট হয়ে পুনরায় নীলেরপাড়া মোশারফ মার্কেট এলাকায় এসে শেষ হয়। সমাবেশ শেষে উপস্থিত জনতা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখর করে তোলে।