নোয়াখালী সংবাদদাতা : নোয়াখালীতে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় জেলা শহর মাইজদীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বর্ষায় শহরের প্রধান সড়ক ছাড়া বেশিরভাগ সড়ক ও এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের মতে নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেনগুলো এবং খালগুলোর মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কার্যকরী কোনো ভূমিকা পালন করে তে দেখা যাচ্ছেনা ।ডিসি অফিস জজকোর্ট চত্বরে, মহিলা কলেজ সডক, নোয়াখালী সরকারী কলেজের নতুন ক্যাম্পাস সড়ক, নোয়াখালী প্রেসক্লাব সড়ক, ফ্লাট রোড, পাঁচ রাস্তার মোড় সড়ক, পশ্চিম মাইজদী সড়ক, জেল সডক, মাইজদী বাজার সড়ক সহ পৌরসভার বেশ কয়েকটি সড়কেই জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী-কর্মজীবী হাজারো মানুষকে।

গতবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ভারি বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যা সৃষ্টি হয়। বন্যায় নোয়াখালীর সাতটি উপজেলা সবকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণ এবং যথাযথ পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার ফলে বন্যা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী আকার ধারণ করে।কৃষি মৎস, সডক ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির এরূপ অবস্থানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনেকেই বিভিন্ন সংস্কার মূলক কার্যক্রমের আশ্বাস দিলেও এবছর সে অনুযায়ী কোনো কাজই হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেনগুলো এবং খালগুলোর মধ্যে ময়লা-আবর্জনা জমে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আশানুরূপ কোনো সংস্কারই করেনি। খাল গুলো এখনও দখল হয়ে আছে, ড্রেন গুলোতে আবর্জনার ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে ভারী বর্ষণে এবছরও জলাবদ্ধতার সমস্যায় ভুগতে হবে এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দাদেরকে। তাই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে বর্ষা মৌসুমের পূর্বেই খাল ও ড্রেন গুলো যথাযথ সংস্কার করার অনুরোধ জানান স্থানীয় অধিবাসীবৃন্দ।

জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল ৯টার পর জেলা শহরে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৯টা পযন্ত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এটা ছিল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।