বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের সাধারণ মানুষ আজও ন্যায়বিচার ও সমঅধিকার থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্র পরিচালনায় ন্যায়নীতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে বিজয়ের প্রকৃত অর্থ পূর্ণতা পায় না। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে হলে রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’ যুব সমাজের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘যুবশক্তির সঠিক ব্যবহার হলে বাংলাদেশ অল্প সময়ের মধ্যেই একটি কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে। কিন্তু নৈতিকতা ও আদর্শবিচ্যুতি ঘটলে এই শক্তিই সমাজের জন্য নেতিবাচক হয়ে উঠতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কারও প্রতি বৈষম্য থাকবে না, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। বিজয় দিবসের এই দিনে একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ার সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, একটি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল। ক্ষমতার মসনদে বসে তারা নানা ধরনের অন্যায় অপরাধ করেছে। বিরোধী মত দমনে এমন কোনো কাজ নেই, যা তারা করেনি। অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে এবং জেলে বন্দি রেখেছে। কিন্তু চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তাদের ক্ষমতার মসনদ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। যে স্বাধীনতা ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এসেছে, সেটি যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর নিউ মাকেটস্থ বায়তুন নূর কমপ্লেক্সের উত্তর গেটে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর যুব বিভাগের বিজয় র্যালি পূর্ব প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
যুব বিভাগের সভাপতি মুকাররম আনসারীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. হামিদুল ইসলাম খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন ও মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম ফারাজী। এ সময় খুলনা মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মিম মিরাজ হোসাইন, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, আ স ম মামুন শাহীন, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রাকিব হাসান, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহীদুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা আমীর মাওলানা মুশাররফ আনসারী, সদর থানা সেক্রেটারি আব্দুস সাালাম, সোনাডাঙ্গা থানা সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান নাঈম প্রমুখ। পরে একটি বিশাল র্যালি নিউ মার্কেট থেকে শুরু হয়ে শিবাবাড়ি মোড়, কেডি এ এভিনিউ হয়ে ময়লাপোতা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাথায় লাল সবুজের পতাকা, ফেস্টুন ও পাতাকা শোভা পায়।