নরসিংদী সংবাদদাতা : নরসিংদী সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ও উন্নয়ন কার্যক্রম সহ সার্বিক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা গতকাল শনিবার দুপুরে আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় আলোকবালী ইউনিয়নে সকল অবৈধ অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার, সন্ত্রাসী-খুনীদের গ্রেপ্তার, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান উন্নয়ন, জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে নদীতে ব্রীজ নির্মাণ, নৌ-পথে চলাচলের জন্য নৌকাতে পরিচয়পত্র, স্পিডবোট চলাচলের জন্য লাইসেন্স প্রদানসহ কতিপয় প্রস্তাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া ইদানিং আলোকবালীতে তিনটি মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়। এধরণের হত্যাকান্ড আর কখনো যেন না ঘটে সে জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।

সভায় আলোকবালী ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য ৭৬ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার তিনটি প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে নরসিংদী সদরের সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার, সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমদাদুল হক, নরসিংদী জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আব্দুল বাছেদ ভূইয়া, জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সম্পাদক এডভোকেট আমিরুল ইসলাম আমির, জেলা বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপক কুমার বর্মন প্রিন্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সাবেক এমপি খায়রুল কবির খোকন বলেন, এই আলোকবালীতে সম্প্রতি তিনটি হত্যাকান্ডের সাথে যারাই জড়িত তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোঃ মেনহাজুল আলম বলেন, সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজদের ঠাই আলোকবালী তথা নরসিংদীতে হবে না। এই সন্ত্রাসী হত্যাকারীরা যাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়েই থাকুক না কেন তাদেরকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ও নির্বিঘেœ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতার আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে আলোকবালী ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে আইন শৃংখলা কমিটি গঠন করা হবে। এখন থেকে আলোকবালী ইউনিয়নের প্রতি জেলা প্রশাসনের আলাদা নজর থাকবে। এখন থেকে আলোকবালীতে যেন আর কোনো লাশ না পড়ে, তার জন্য তিনি সকলের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, এরপর যদি কোনো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে তাহলে জেলা প্রশাসন তাদের প্রতি কঠোর হবে।