জনগণের চরম আপত্তি ও দীর্ঘদিনের আন্দোলনের পরও গাইবান্ধায় বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সংযোগ দিচ্ছে নেসকোর ঠিকাদাররা। এ নিয়ে জনগণ ও ঠিকাদাররা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। যে কোনো সময় বিদ্যুৎ গ্রাহক ও ঠিকাদারদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা রয়েছে।

গাইবান্ধায় প্রিপেইড মিটার সংযোগ প্রতিরোধে গত বছরের শেষের দিকে ‘ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ কমিটি’নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে আন্দোলন করা হয়। এই সংগঠনের আয়োজনে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সমাবেশে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করেন।

বিদ্যুৎ গ্রাহক ও সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গাইবান্ধা এমনিতেই অনুন্নত এলাকা, এখানে গরিব লোকের বসবাস বেশি। এ অবস্থায় বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সংযোগ দিলে সাধারণ গ্রাহকরা আর্থিক ক্ষতি ও হয়রানির শিকার হবেন। কারণ প্রতি রিচার্জে হাজারে ২শ’ ৪০ টাকা, মিটার ভাড়া ৪০ টাকাসহ ডিমান্ড ও সারচার্জ কাটা হবে।

আন্দোলনের ফলে গাইবান্ধায় প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেয়া বন্ধ ছিল। কিন্তু নেসকোর ঠিকাদাররা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় প্রিপেইড মিটার সংযোগ দেয়া শুরু করেছে। এ নিয়ে গ্রাহকদের সাথে ঠিকাদারদের প্রায়ই বচসা হচ্ছে, যেকোনো সময়ে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী মুসা প্রশ্ন তুলে বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের প্রকল্প হচ্ছে, বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার সংযোগ। বর্তমানে পতিত সরকারের গৃহিত সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে কেন? তিনি আরও বলেন, সাধারণ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল কখনই বকেয়া থাকে না, বকেয়া থাকে সরকারি-আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর। প্রিপেইড মিটার সংযোগ প্রকল্প থেকে গাইবান্ধাকে প্রত্যাহার করে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।