বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, শহীদ আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, সাকিব রায়হান, রাকিব. ওয়াসিম, ফয়সাল আহমেদ শান্ত, আলী রায়হানসহ অসংখ্য ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে বৈষম্যের মুলোৎপাটন এবং ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়ে স্বৈরাচার বিদায় করেছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তারাই আমাদের জাতীয় বীর। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশকে জুলাইয়ের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। তাদের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজকে আমাদের সমাপ্ত করে তাদের রক্তের বদলা নিতে আগামী নির্বাচনে ইসলামকে ক্ষমতায় নিতে হবে। তিনি বলেন, জুলাইয়ের সেই হৃদয় বিদারক ঘটনার কথা আজও মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। যারা শহীদ হয়েছেন তারা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের এই আত্মত্যাগ জাতির জন্য চেতনার বাতিঘর। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের জিঞ্জির ভেঙেছে এ দেশের ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে। তারা অকুতোভয় বীর, তারা জাতির সূর্যসন্তান। তাঁদের রক্তের ঋণ শোধ হবার নয়। এই আত্মদান আমাদের আগামী আন্দোলন-সংগ্রামে প্রেরণার উৎস্য হিসেবে কাজ করবে। তিনি এ গুহত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান। বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে খুলনার তা’লিমুল মিল্লাত মাদরাসায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও হতাহতদের মাগফিরাতের জন্য দরিদ্র,অসহায়, দুস্থ ও ইয়াতিমদের মাঝে খাবার বিতরণকালে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।

এ সময় খুলনা মহানগরী জামায়াতের সরকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম, সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, সোনাডাঙ্গা থানা সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান নাঈম, ১৮ নং ওয়ার্ডের আমীর মশিউর রহমান রমজান, ডা. কামরুল ইসলাম, মাদাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সউদ, মাওলানা জাফর সাদিক আনসারী, শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মজিদ, সিরাজুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের দ্রুত আরোগ্য এবং দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।