খুলনায় বোরো আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। এদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়াতে বোরো ধান কর্তনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। মধ্য বৈশাখে ঝড়ো হাওয়া, শিলা বৃষ্টিতে খুলনায় মাঠের পর মাঠ বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। এপ্রিলের প্রথম থেকে শুরু হয়ে এ পর্যন্ত ৮২ শতাংশ জমির ধান কর্তন করা হয়েছে। বাকি ১৮ শতাংশ ক্ষেতে শিলার আঘাতে ঝরে পড়া ধান নিয়ে বেড়েছে কৃষকের কষ্ট। মওসুমের শুরু থেকে রোগ-বালাই, সেচ সংকট না হলেও বোরো আবাদের ওপর কৃষক আশাবাদী ছিল। শেষ মুহূর্তে ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের কোটি কোটি টাকার বোরো ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, গত ২৮ এপ্রিল বিকেলে এক ঝলক বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের সাথে ছিল শিলা। এ মওসুমে এটাই প্রথম বৃষ্টিপাত। এদিনে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ধান ক্ষেতে পানি জমে যায়। গত মঙ্গলবার ও বুধবার কৃষি শ্রমিকের মূল্য জনপ্রতি বেড়েছে দুইশ’ টাকা করে। চলতি মওসুমে গত ২৫ এপ্রিল খুলনা জেলায় ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকায় সেদিনও কৃষি শ্রমিকের মজুরি বাড়ে।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, চলতি মওসুমে ৬৫ হাজার ৫৩৬ সেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর। সূত্রমতে, এবারে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন।
রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামের কৃষক মো. ওমর আলী শেখের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি এ মওসুমে ৮ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেন। এতে ধান উৎপাদন হয়েছে প্রায় দুইশ’ মণ। শিলা বৃষ্টির আগে ধান কাটা সম্পন্ন হওয়ায় তিনি ক্ষতির মুখে পড়েননি। একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মো. সাব্বির শেখ বলেন, তিন একর জমিতে বোরো আবাদ করেন। বিঘা প্রতি ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার টাকা। আরও বলেন, এ মওসুমে বোরোর আশানুরূপ ফলন হলেও কালবৈশাখীর তান্ডবে জমিতে রাখা কাটা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ধানের ফলন ভালো হয়েছে।