নড়াইল সংবাদদাতা : নড়াইলের কালিয়ায় হত্যা মামলার আসামি রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের বাড়ির পেছন থেকে আসামি রফিকুল মোল্যার (৩৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের রিকাইল শেখের বাড়ির পেছনে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।নিহত রফিকুল মোল্যা ওই গ্রামের আজিজুর মোল্যার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের ইটভাটার মালিক রিকাইল শেখ ও আফতাব মোল্যার সাথে প্রতিপক্ষ মিলন মোল্লার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ববিরোধ চলে আসছিল। গত ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে রিকাইল শেখ ও আফতাব মোল্যা পক্ষের ফরিদ মোল্যা (৫৭) নির্মমভাবে খুন হন। এ ঘটনায় কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়।এ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ১৮ নং আসামি ছিলেন রফিকুল মোল্যা। নিহতের স্ত্রী ওজুফা বেগম জানান, তাঁর স্বামীকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন হত্যা করেছে।

রিকাইলের স্ত্রী সালমা খানম জানান, প্রতিপক্ষের হুমকি-ধামকিতে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে গোপনে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন আমার স্বামী।সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষ গ্রুপের রফিকুলকে তাঁর নিজের দলীয় লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা করে আমাদের বাড়ির পিছনে ফেলে রেখে গেছে।ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাছে তিনি জোর দাবি জানান। রিকাইলের ভাই নাসির শেখ (৬২) জানান, ফরিদ মোল্যা হত্যা মামলার কাউন্টার মামলা দিতে এবং আমার ভাইয়ের সামাজিক প্রতিপত্তি ক্ষুন্ন করতে ও ব্যবসা বানিজ্যের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ মিলন মোল্লার লোকজন এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে রফিকুলের মরদেহ রিকাইলের বাড়ির পিছনে ফেলে রেখে গেছে।এ ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে তার তদন্ত চলছে।হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।