নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা : রাজধানী ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামকে সরাসরি যুক্ত করার লক্ষ্যে সাময়িক স্থগিতকৃত উপপ্রকল্প ৬ এর অধীনে পুনরায় নারায়ণগঞ্জ-লাকসাম কর্ড রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘন বসতিপূর্ণ এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় চলছে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ। বাসিন্দারা বলছেন, আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণ করা হলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর পড়বে বিরূপ প্রভাব। ঝুঁকির মধ্যে পড়বে তাদের জীবন। এ অবস্থায় সরকারি খাস জমি কিংবা খালি কোন জায়গা দিয়ে রেলের কর্ডলাইন নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

স্থানীয়দের অভিযোগে প্রকাশ, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব কমাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার কর্ডলাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বিভাগ। এর আগে আরও কয়েকবার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েও স্থগিত করা হয়। বর্তমানে চারটি সম্ভাব্য পথ নির্ধারণ করে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার দেউলী চৌরাপাড়া এলাকা দিয়ে কর্ডলাইন স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে। এ এলাকাটি প্রায় ৫শ’ বছরের প্রাচীন ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা। এখানে কলকারখানাসহ হাজারো পাকা ও আধা পাকা ঘরবাড়ি রয়েছে। এ এলাকা দিয়ে রেলের কর্ডলাইন নির্মাণ করা হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বাসিন্দারা। রেলের এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে সম্প্রতি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। জনবসতিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে ফাঁকা জায়গা দিয়ে কর্ডলাইন নির্মাণের দাবি তাদের।

স্থানীয়দের অভিযোগে আরো প্রকাশ, রেলের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা পকেট ভারী করতেই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা দিয়ে প্রকল্পটি নিতে চান। এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ দিয়ে নেওয়া হলে ব্যয় ও দুর্নীতি দুটিই কমবে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।

সার্ভে কাজে অংশ নেওয়া জেন্ডার এন্ড সোস্যাল স্পেশালিষ্ট কর্মকর্তারা রিনা খানম বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য এখন চলছে প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য তিনটি লাইনে সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সোস্যাল সেইফগার্ড এক্সপার্ট আকবর হোসাইন জানান প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।