জামায়াতের যারা ইসলামকে দোহাই দিয়ে ভোট চাইছে তাদের পেটানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী।
শুক্রবার (১৪নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ মিটিং-এ জামায়াতকে পেটানোর অডিও বার্তা ফাঁস হয়েছে। তাদের এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ মিটিংয়ে সময় সংযুক্ত ছিলেন শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক সভাপতি আজাদুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
প্রথমে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আজাদুল ইসলাম আজাদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামের কিছু নারী সদস্য প্রতিটা গ্রামে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ধর্মপ্রাণ মা বোনদের কাছ থেকে দাঁড়িপাল্লার ভোট চাইতেছে এবং একতাবদ্ধ করতেছে। আমরা সবাই আমাদের আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী ভাই বোন, খালা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো। যাতে এই জামায়াতে ইসলামের বিভ্রান্তে বা কোন প্রলোভনে বা কোন আশ্বাসে জান্নাত পাওয়ার আশ্বাসে দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ না হয়। সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। আর স্বেচ্ছাসেবক দলের আমাদের যত আত্মীয়-স্বজন আছে এই বিষয়ে তাদের সজাগ করবো।’
সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মমিন বলেন, ‘মহিলা জামায়াতের রোকনের বাড়ি আমাদের গ্রামে। আবার ইউনিয়ন জামায়াতের আমীরের বাড়িও এই গ্রামেই। ওখানে তো বন্ধ করা যাবে না। এই হতে পারে যেখানে দশজন যায়, সেখানে দুই একজন কম যাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আর ওখানে তো তেমন কিছু হয় না। হাদিস কোরআন পড়ে আর মোনাজাত করে।’
তবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী বলেন, ‘জামায়াতের যারা ইসলামকে দোহাই দিয়ে ভোট চাচ্ছে তাদেরকে এলাকার যেখানে পাবেন সেখানে ধরে পিটানো হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বগুড়া-৭ সংসদীয় আসনে এমপি পদপ্রার্থী গোলাম রব্বানী বলেছেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে বেহেস্তের টিকিট বিক্রির যে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। আমরা কোনদিন বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করি না। বরং কিভাবে চললে বেহেস্ত পাওয়া যাবে সে কথা বলি। বেহেস্ত দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা। নির্বাচনে দাঁড়ানো আর ভোট চাওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই আমরা ভোট চাইতে জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি এবং যাব। কে কি বলল এটা আমরা কানে নিচ্ছি না।’
এর আগে শাজাহানপুর উপজেলার এক বিএনপি নেতা হুমকি দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার আসনে অন্যকোন দলের পক্ষে ভোট চাওয়া যাবেনা। ওই বক্তব্যের পর এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা হয় এবং সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এবার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার এমন হুমকির পর জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে সাধারণ ভোটাররা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়ছেন।