দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কিশোরীগঞ্জ সীমান্তের ভারতীয় অংশে অবস্থান করা ৯ বাংলাদেশীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র নিকট হস্তান্তর করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এরপর বিজিবি ওই ৯ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরূদ্ধে শুক্রবার রাতেই বিরল থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আটককৃতরা হলেন- দিনাজপুরের বিরল উপজেলার নাগরবাড়ী গ্রামের মৃত খোকা মোহাম্মদের পুত্র মতিউর রহমান (৪৫), মানিকপাড়া গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম (৩৮), রতনুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের পুত্র সামিউল ইসলাম (৩৫), ওকড়া গ্রামের মনছুর আলীর পুত্র নুরজামাল (৪০), বোচাগঞ্জ উপজেলার বড় সুলতানপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর পুত্র রমজান আলী (২৩), মোবারকপুর গ্রামের মাজেদ আলীর পুত্র আরমান আলী (২৫) ও তার ভাই কাজল ইসলাম (২০), গোপালপুর গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের পুত্র নাঈম হোসেন (২৩) এবং সাহাজুল ইসলামের পুত্র রিপন ইসলাম (২৭)।

জানা যায়, ভারতের বিভিন্ন স্থানে শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল ৯ জন। ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে তারা বাংলাদেশে ফিরছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৬৩ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে বিষয়টি বিজিবিকে জানায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটককৃত ৯ বাংলাদেশীকে কিশোরীগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদেরকে কাছে তুলে দেয় বিএসএফ। পরে তাদের বিরল থানায় হস্তান্তর করে বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিরল থানার ওসি আব্দুস ছবুর বলেন, ৯ জন বাংলাদেশী নাগরিক বিভিন্ন সময়ে কাজের জন্য ভারতে যান। কাজ শেষে বাংলাদেশে ফেরার সময় শুক্রবার সকালে বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকে তাদের হস্তান্তর করা হয়। তিনি জানান, বিজিবি’র কিশোরীগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সাইফুল ইসলাম আটকদের বিরল থানায় হস্তান্তর করেছেন। আটকদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।