ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কুষ্টিয়ার সাবেক প্রক্টর ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষক নেতা প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানের বহিষ্কার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রশিবির। সংগঠনের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে সাজানো ক্রসফায়ার, তথাকথিত জঙ্গি নাটক, বিরোধী মত দমন ও শিক্ষার্থীদের হয়রানির মূল হোতা ছিলেন মাহবুব।

গতকাল রোববার দুপুরে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিবিরকর্মীরা স্লোগান দেনÑ ‘বহিষ্কার বহিষ্কার, মাহবুবের বহিষ্কার’, ‘প্রক্টর মাহবুবের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘মাহবুব জঙ্গি, খুনি হাসিনার সঙ্গী’, ‘প্রক্টর মাহবুবের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’।

বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান সমাবেশে বলেন, “সাবেক প্রক্টর মাহবুব আমাদের শিক্ষার্থীদের জঙ্গি ট্যাগ দেওয়া, পরীক্ষার হল থেকে ধরে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া এবং ইসলামী শিক্ষার মক্তব বন্ধ করে দেওয়ার মূল হোতা ছিলেন। পরিকল্পিতভাবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঘটনায় শিবিরের নাম জড়িয়ে দিতেন। মিথ্যা সাক্ষ্য আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের গুম করে রেখে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেওয়া হতো।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, প্রক্টর মাহবুব ৭০ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, যা এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। “এক বছর আগে অভ্যুত্থানের পরও প্রশাসন কেন এই ধরনের ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠ থাকে, তা শিক্ষার্থীদের কাছে রহস্যজনক বলে মনে করেন শিবির সভাপতি।

শিবির নেতা আরও বলেন, “প্রক্টর মাহবুবরা শুধু আওয়ামী শাসনামলেই নয়, এখনো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি অবমাননাকর আচরণ, বিশেষ করে বোনদের পর্দা করার অধিকার সীমিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের গুম করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। মাহবুবদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনিরাপদ।”

তিনি দাবি করেন, যদি মাহবুবকে দ্রুত বহিষ্কার না করা হয় তবে সাজিদ হত্যাকা-ের মতো আরও ঘটনা ঘটতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকসুর কার্যক্রম চালু, সকল কার্যক্রমে ডিজিটালাইজেশন এবং সাজিদ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।