১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) "মার্চ টু গোপালগঞ্জ"-এর আগে পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লাঞ্চনার ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সকাল থেকে শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহরের অলিগলি ফাঁকা। জরুরি পরিসেবা চালু রয়েছে। প্রধান সড়কে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করছে। তবে কারফিউ ঘিরে সকালের দিকে শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা যায়নি।

গতকাল রাতে (১৭ জুলাই) মামলা দায়ের করা হয়। এতে ৭৫ জনকে আসামি করা হয়েছে, যার মধ্যে নিষিদ্ধ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক আতাউর পিয়ালের নাম রয়েছে। এছাড়া ৪৫০ থেকে ৫০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত যৌথ বাহিনী ৪৫ জনকে আটক করছে।

ঘটনাটি শুরু হয়েছিল ১৬ জুলাই, যখন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কিছু সদস্য ও সমর্থকরা এনসিপির "মার্চ টু গোপালগঞ্জ"-এ ভাঙচুর চালায় এবং পুলিশ ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা একটি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে মারধর করে।

পরবর্তীতে, সমাবেশ শেষে ফেরার পথে এনসিপি সদস্যদের ওপরও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কিছু সদস্য আক্রমণ করে, যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ শুরু হয় এবং শহরটি যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী হামলাকারীদের ওপর গুলি চালায়।

এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন, নিষিদ্ধ যুবলীগ সদস্য দীপ্ত সাহা (২৫), থানাপাড়া এলাকার রমজান কাজী (২৪), সদর উপজেলার আড়পাড়ার ইমন তালুকদার (১৮), এবং টুঙ্গিপাড়া এলাকার ইদ্রিস মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা।