রাজশাহীতে পদ্মার বালুমহালগুলো থেকে ছয় মাস বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তার আগে পদ্মার চিহ্নিত বালুমহালগুলোতে কত পরিমাণ উত্তোলন যোগ্য বালু মজুত আছে তার জরিপ করার কথা বলা হয়েছে।

হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ সম্প্রতি রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ দিয়েছেন। বরেন্দ্র অ্যাসোসিয়েটস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি রিট আবেদন করেন মাহফুজা মোরশেদ নামের একজন সাবেক ইজারাদার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি পদ্মা নদী থেকে রাজস্ব দিয়ে বালু উত্তোলনের জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেন। উচ্চ আদালত আবেদনকারীকে বালু উত্তোলনের জন্য আদেশ দিলে ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব খাতে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা জমা করা হয়। আবেদনকারীকে ২০ লাখ ঘনফুট বালু তোলার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু তৎকালীন জেলা প্রশাসন আবেদনকারীকে বালু মহাল বুঝিয়ে না দিয়ে আদালতের আদেশকে উপেক্ষা করেন। এ সুযোগে তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পদ্মার বিভিন্ন বালুমহাল থেকে অবাধে বালু লুট করে। অভিযোগ করার পরও ওই সময় প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সরকারকে রাজস্ব পরিশোধ করলেও বরেন্দ্র অ্যাসোসিয়েটস একদিনের জন্যও বালু উত্তোলনের সুযোগ পায়নি। এদিকে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত অক্টোবরে বরেন্দ্র অ্যাসোসিয়েটস উচ্চ আদালতে পুনরায় রিট করে রাজশাহীর সব বালুমহালে বালু উত্তোলন বন্ধসহ ২০০৭ সালে দেওয়া উচ্চ আদালতের আদেশ কার্যকরের আবেদন করেন। গত ১৭ মার্চ উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ বরেন্দ্র অ্যাসোসিয়েটসকে বালুমহাল বুঝিয়ে দিয়ে সব ইজারা ব্যবস্থা স্থগিত ও বালু উত্তোলন বন্ধের আদেশ দেন জেলা প্রশাসককে।

যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া ও বোয়ালিয়া থানা এলাকায় গত বছর ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এক এজাহারনামীয় আসামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান আরএমপি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো: নাইমুল ইসলাম নাইম (৩০), আসামী মো: তানভির হাসান সজিব (৩২) ও এস এন কে আরকান উদ্দিন বাপ্পি (৪৯)। নাইম রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার রাজারহাতা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। সে রাজশাহী সিটি কলেজ ও রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ কর্মী তানভির হাসান একই এলাকার মৃত আবুল খায়েরের ছেলে এবং আরকান উদ্দিন বাপ্পি কুমারপাড়ার মৃত আনসার উদ্দিন আনফোরের ছেলে। সে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক।