জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধে পাঁচ বছরের দণ্ড পাওয়া রাজসাক্ষী ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বর্তমানে গাজীপুরের বিশেষ কারাগারে রয়েছেন। দণ্ডের কারণে কারাবিধি অনুযায়ী তার ডিভিশন–১ সুবিধা বাতিল হয়ে যাচ্ছে, ফলে এখন তিনি ডিভিশন–২ এর সুবিধায় থাকবেন এবং পরতে হবে সাধারণ কয়েদির পোশাক।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, ডিভিশন–১ এ থাকা কোনো বন্দি দণ্ডিত হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ডিভিশন–২ এ স্থানান্তর করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত বন্দির পুনরায় ডিভিশন–১ পাওয়ার সুযোগ নেই। তবে সাবেক আইজিপি মামুন চাইলে ডিভিশন সুবিধা বহালের জন্য আবেদন করতে পারেন। সরকার অনুমোদন দিলে তিনি ডিভিশন–২ সুবিধা পাবেন, অন্যথায় সাধারণ কয়েদি হিসেবেই থাকতে হবে।
কারা অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, বিচারাধীন বন্দিদের ক্ষেত্রে সামাজিক সম্মান, মর্যাদা ও অবস্থানের ভিত্তিতে ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়। কারাবিধি অনুযায়ী তিন ধরনের ডিভিশন আছে—ডিভিশন–১, ডিভিশন–২ ও ডিভিশন–৩। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে ১ থেকে ১৮ অবস্থানে থাকা সাবেক ব্যক্তিরা প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে ডিভিশন–১ পান। এছাড়া বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক, সিআইপি, স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং প্রফেসর অব ইমিরেটাস পদে নিয়োজিতরাও এই সুবিধা ভোগ করেন। আর সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা ও জীবনযাপনের ধরন বিবেচনায় অন্য উচ্চমানের বন্দিদের ডিভিশন–২ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র আরও জানায়, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ও আদালতে দেড়শ’র বেশি মামলা রয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ২৯তম মহাপরিদর্শক। ১৯৮২ সালে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগ দিয়ে তিনি ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আইজিপি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়।