সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুই ছাত্রের চার দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। গ্রেফতারকৃত শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ দুইজনই নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিল। গতকাল সোমবার দুপুরে সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক হারুনুর রশিদ তাদের রিমা- মঞ্জুর করেন। শাবিপ্রবি’র সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ। দুইজনই নির্যাতিত ছাত্রীর সহপাঠী। এর আগে গত রোববার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের ৫ দিনের রিমা-ের আবেদন করেন। সোমবার শুনানি শেষে বিচারক তাদের ৪ দিনের রিমা- মঞ্জুর করেন।

কোতোয়ালী থানার ওসি জিয়াউল হক জানান, দুই আসামীর পাঁচ দিনের রিমা-ের আবেদন করা হলে বিচারক চারদিনের রিমা- মঞ্জুর করেছেন। এ ঘটনার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি-না তা জানার জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে, ধর্ষণের অভিযোগে প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন কার্যদিবস শেষে আগামীকাল বুধবার তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদানের কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ২ মে সন্ধ্যায় সহপাঠী আদনান ও পার্থের সাথে কনসার্টে যাওয়ার কথা ছিল ওই ছাত্রীর। কনসার্টে যাওয়ার আগে কৌশলে তারা ওই ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে নিয়ে যায়। পরে অচেতন করে তাকে রাতভর ধর্ষণ ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে আদনান ও পার্থ। সকালে তারা নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনা জানায়। এরপর থেকে সোস্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তারা ছাত্রীটিকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল।