জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার রায়ের দিন ধার্য করবেন ট্রাইব্যুনাল। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়ানো হবে। সে সঙ্গে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল বুধবার এমনটা জানিয়েছে ট্রাইব্যুনাল প্রশাসন। এর আগে সম্প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড ও এর আশপাশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। গত রোববার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন শাখা থেকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) ড. মো. আতিকুস সামাদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ও হাইকোর্ট-আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এখানেই দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ মামলাসহ কয়েক লক্ষ নথি সংরক্ষিত রয়েছে। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের মালিকানাধীন জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ও প্রধান বিচারপতির প্রবেশপথসংলগ্ন ফোয়ারা এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে, যা সুপ্রিম কোর্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, সুপ্রিম কোর্ট ও বিশেষ কোর্ট নিরাপত্তা বিভাগ, শাহবাগ থানার ওসি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।