আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ আপিল শুনানি হতে পারে।

গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেছেন।

আইনজীবী শিশির মনির জানান, এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলার সব প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ফৌজদারি আপিল নং ৩৮/২০২৫। সোমবার (২১ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির আদালতে উপস্থাপন করবো। যেন মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শুনানির জন্য আসে। আশাকরি দ্রুতই নিষ্পত্তি হবে ইনশাআল্লাহ।

৯ ধরনের ৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।

ওই দিন আদালতে আসামীপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (মরহুম) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (মরহুম) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।

ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেছেন। সে অনুসারে আপিল প্রস্তুত করা হয়।