২০২২ সালে জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েও ফলাফল বদলে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদকে। অবশেষে আদালতের রায়ে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা পেলেন।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এর পূর্বে প্রকাশ্য এজলাসে ভোট গননা করান বিজ্ঞ জজ।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নে চশমা প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সকল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের সাক্ষরিত ফলাফলে জয়লাভ করেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ পরাজিত হোন নৌকার প্রার্থী সামছুল আলম। তবে উপজেলা পর্যায়ে ফলাফলের কাগজপত্রে প্রিজাইডিং অফিসার এবিএম নোমান টেম্পারিং করে প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সামছুল আলমকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। একাজে জড়িত ছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সোনাইমুড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বরকত উল্লাহ। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকেও তারা উপেক্ষা করেন। তৎকালীন জেলা প্রশাসক তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
অবশেষে সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে যুদ্ধ করে চেয়ারম্যান হলেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর সাইয়েদ আহমদ।
মাওলানা সাইয়েদ আহমদ এর প্রধান আইনজীবী এডভোকেট মঈন উদ্দিন আহমদ খসরু ও এডভোকেট তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে তিন বছর আগে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজ আদালত সেই রায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাশীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল টেম্পার করে আওয়ামী প্রার্থীকে জয়ী করা হয়, অথচ কেন্দ্রে প্রাপ্ত ফলাফলে স্পষ্টত জয়ী ছিলেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। উপজেলা পরিষদেও ফলাফলের টেম্পারিং হয়েছে। সেখানে তাকে ১১ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ বলেন, সত্যের জয় হয়েছে। সত্য কখনো চাপা থাকে না - আজ তা প্রমাণিত হলো। এটি জনগণের বিজয়। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাই আমি শুরুতেই নির্বাচনী ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ আল্লাহর রহমতে জয় পেয়েছি।
এসময় আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলা পরিচালায় ছিলেন এডভোকেট আমীরুল ইসলাম বুলবুল, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, এডভোকেট শাহ জামাল, এডভোকেট সাইফুল ইসলাম ফরহাদসহ আইনজীবীবৃন্দ।