সাড়ে তিন বছর আগে হাত হারানো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩ বছর বয়সী শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছেন কারখানার মালিক হাজী ইয়াকুব। আদালত এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৩ মে দিন ধার্য করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে শিশুর আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুককে ১০ লাখ টাকার পে অর্ডার বুঝিয়ে দেন কারখানা মালিকের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

পরে ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, আগামী ১৩ মে এ মামলার শুনানি হবে। আশা করি ওইদিন শিশু নাঈম অবশিষ্ট ২০ লাখ টাকা পাবেন। সেদিন কারখানার মালিককেও আসতে হবে।

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতের আদেশের পরও শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় কারখানার মালিক হাজী ইয়াকুবকে তলব করেন আপিল বিভাগ।

আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

গত বছরের ১৯ নবেম্বর শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

গত বছরের ১২ জানুয়ারি শিশু নাঈম হাসান নাহিদকে ৩০ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই বছরের এপ্রিলের মধ্যে প্রথমধাপে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট এবং ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫ লাখ টাকার ডিপোজিট করে দিতে বলা হয়।

১০ পছর পর নাঈম হাসান নাহিদ ডিপোজিটের টাকা উত্তোলন করতে পারবে। একইসঙ্গে শিশুটি এইচএসসি পাস না করা পর্যন্ত তাকে প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা করে দিতে বলা হয় ভৈরবের নূর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিককে।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. বাকির উদ্দিন ভূইয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তামজিদ হাসান। তারা বিনা পয়সায় শিশুটির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন।