DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

আদালত

মিথ্যা ও হয়রানি মামলায় গাজীপুর ডুয়েটের তিন অধ্যাপক ও রেজিস্ট্রারের জামিন

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট) এর সাবেক এক অধ্যাপকের গাজিপুর সদর থানায় আওয়ামী সরকারের শাসনামলে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানি মামলায় অভিযুক্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপক ও এক রেজিস্ট্রারের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

Screenshot_20250313-050521_WhatsApp
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট) এর সাবেক এক অধ্যাপকের গাজিপুর সদর থানায় আওয়ামী সরকারের শাসনামলে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানি মামলায় অভিযুক্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপক ও এক রেজিস্ট্রারের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।

গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা: ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট) এর সাবেক এক অধ্যাপকের গাজিপুর সদর থানায় আওয়ামী সরকারের শাসনামলে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানি মামলায় অভিযুক্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপক ও এক রেজিস্ট্রারের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার (১২ই মার্চ)গাজীপুরের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

এ আদেশ প্রদান করেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ওয়ারেন্ট ইস্যু এবং আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করার আবেদন জানান।

অন্যদিকে আসামিদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তথা ডুয়েটের কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বিনাশর্তে আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, বাদী মো: আব্দুল মান্নান ভূইয়া ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট) এর সাবেক অধ্যাপক। তিনি আমেরিকান ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করলে সেটার বিপরীতে ডুয়েট কতৃপক্ষ তা যাচাই বাছাই করতে একটা তদন্ত টিম গঠন করেন। বাদীকে পিএইচডি ডিগ্রী প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন না থাকা সহ অন্যান্য কারণ দেখিয়ে তদন্ত কমিটি যাচাই বাছাই সাপেক্ষে বাদীর উক্ত ডিগ্রিকে ভূয়া মর্মে রিপোর্ট দেন। পরবর্তীতে বাদী অত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিজাইন দেন এবং হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে মহামান্য হাইকোর্ট রুল জারি করলে বাদী পিএইচডি ডিগ্রীর সুপারভাইজার হিসেবে যাকে দেখিয়েছেন, তিনি বাদী মো: আব্দুল মান্নান ভূইয়ার সুপারভাইজার ছিলেন না মর্মে চিঠি প্রদান করলে বিবাদীপক্ষ তা রুলের জবাবে সন্নিবেশিত করেন।

উক্ত চিঠি প্রদানকারী অধ্যাপক শাহীন হাসান চৌধুরীর স্বাক্ষর সম্বলিত সাক্ষরকে ভুয়া স্বাক্ষর হিসেবে দাবী করেন। রিট মামলা ৪৪০৯/২৪ যাহা এখনো উচ্চ আদালতে চলমান। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে বাদী উক্ত চিঠির স্বাক্ষরকে জালিয়াতি মর্মে গাজীপুর সদর থানার অধীনে একটা সি আর মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আজ সবাই জামিন পেলেন। ডুয়েট কর্তৃপক্ষ ও আসামী পক্ষের আইনজীবীরা হলেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আল মামুন রাসেল, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আমানুল্লাহ আদিব ও আব্দুল হান্নান প্রমুখ।